তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে,পার্টি অফিস দখল করে সংগঠন বাড়াচ্ছে যুব,তীব্র চাঞ্চল্য উওরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 9, 2018 পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দেরেই চলছে মতবিরোধ। একথা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ানো উওরবঙ্গে। পর পর দুটি ঘটনা শোরগোল ফেলে দিল রাজনৈতিকমহলে। গতকালই দিনহাটার গেসানিমারিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে দলীয় পতাকা নামিয়ে দলেরই যুব সংগঠন তাঁদের পতাকা ওঠায়। অন্যদিকে,গোসানিমারি – ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতজন জয়ী সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন সদস্য যুব সংগঠনের দলে যোগদান করল। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর গোসানিমারিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন রয়েছে। তাব আগেই তৃণমূলের মাদার এবং যুব সংগঠনের এরকম বিভক্তিকরণ দেখে রীতিমতো চাপে পড়ে গেলেন শীর্ষ নেতৃত্বরা। এমনকি ব্লকসভাপতি বিক্ষুব্ধদের কাছেও ছুটেছিলেন, বিষয়টি বোঝাতে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন বিক্ষুব্ধরা। সম্প্রতি গোসানিমারির জয়ী তৃণমূল সদস্য বিনোদ রায়ের বাড়ির পিছন থেকে ১৬ টি বোমা এবং একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার হলে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। । বিনোদবাবুকে দুর্নীতিকান্ডে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে বিরোধীরা, এমনটাই দাবী করে তৃণমূল। এরই মধ্যে মাদার-যুব সংগঠনের মধ্যে টানাপোড়েন তুঙ্গে চলছে পঞ্চায়েতের প্রধান পদ দখল নিয়ে। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দিনহাটা – ১ ব্লকে বিভিন্ন সময়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এর জেরে উত্তপ্তও হয়েছে এলাকা। ব্লকের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত এলাকায় যুবদের আওতায় থাকলেও গোসানিমারিতে কিন্তু দাপট চলে মাদারেরই। এই এলাকায় বেশির ভাগ পঞ্চায়েতেই নিরঙ্কুশভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৩ টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটিতেই উড়েছে তৃণমূলের ঝান্ডা। কিন্তু বোর্ড গঠনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই মাদার শিবিরের ভাঙন বাড়তি চাপ সৃষ্টি করল শাসকশিবিরে। দলীয় বিধায়করা গোসানিমারিতে বারবার উন্নয়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও নাকি সে কথা রাখেনি। দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করে নিজেরা লাভ করে গিয়েছে শুধু্। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শের পথে হাঁটা জন্যেই শিবির পরিবর্তন করলেন তাঁরা। এমনটাই বক্তব্যে জানালেন সদ্য যুব সংগঠনে যোগ দেওয়া গোসানিমারি – ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আহ্বায়ক মিঠুন চক্রবর্তী। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে যুব সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক জানান,দলীয় বিধায়কের উপর ক্ষুব্ধ হয়েই অনেকে যুব দলে যোগ দিয়েছেন। এঁদের একত্রে নিয়ে সমবেতভাবে উন্নয়ণ করাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের। দলগতভাবে বিভেদের কোনো জায়গা নেই। সবাই আসলে তৃণমূল কর্মী। অন্যদিকে, সিতাইয়ের বিধায়ক তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া জানান,দল পরিবর্তন নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। দলই চূড়ান্ত করবে গোসানিমারি – ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ কাকে দেওয়া হবে। আপনার মতামত জানান -