বিজেপির রথযাত্রার পাল্টা গঙ্গাজল-গোবরজল ছিটিয়ে ‘পবিত্রযাত্রার’ নিদান তৃণমূল নেতৃত্বের রাজ্য November 29, 2018 বিজেপি ঘোষিত রথযাত্রা নিয়ে এমনিই উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। তার উপর সেই উত্তাপকে বাড়িয়ে বিজেপির রথযাত্রাকে টেক্কা দিতে পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা তৃণমূলের। বাংলার বুকে বিভেদের রাজনীতি করতে রাজ্যে রথ নামাচ্ছে বিজেপি,এমনটাই দাবী তৃণমূলের। তাই রাজ্যের শুচিতা ফিরিয়ে আনতে পদ্মশিবিরের কর্মসূচির পরেরদিনই হিন্দু রীতিতে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল,গোবর জল ছড়িয়ে ‘পবিত্রযাত্রা’ করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।হিন্দুত্ববাদীদের মোকাবিলায় হিন্দুদের আচারকেই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল,এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই পবিত্রযাত্রার দলীয় নির্দেশিকা জেলা নেতৃত্বের তরফ ব্লকগুলোতে পাঠানো শুরুও হয়ে গিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে বাম,কংগ্রেসের দূর্বলতার সু্যোগে বিজেপি জায়গা করে নিয়েছে এ রাজ্যে। বর্তমানে সাংগঠনিক ক্ষমতার দিক থেকে তৃণমূলের পরেই দ্বিতীয় স্থানটি বিজেপির। তাই লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে লড়াই হবে প্রকৃত অর্থে তৃণমূল বনাম বিজেপির। আর লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই এই দুই প্রতিপক্ষের সংঘাত আরে তীব্র রূপ নিচ্ছে। লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচিকে জোরদার করার লক্ষ্যেই ডিসেম্বরের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রকে ছুঁয়ে যাওয়ার জন্যে রথযাত্রার সিদ্ধান্ত বিজেপির। রথযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির রথী-মহারথীদের পাশাপাশি জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ হাজির হয়ে বাড়তি মাত্রা দিতে চাইছে রথযাত্রায়। লক্ষ্য অবশ্যই জনসংযোগ। তবে বিজেপির এই সুবৃহৎ প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্য তৈরি রথকে ‘শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল গাড়ি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ওরা ধর্মের নানে বিভাজন করতে চায়’- এমনটাই বক্তব্য তৃনমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আর তাই এই বিভাজনের রাজনীতির মুখে ছাই দিতে রাজ্যবাসীকে সম্প্রতি বার্তা দিতে ‘পবিত্রযাত্রা’ কর্মসূচি করতে চায় তৃণমূল। কীভাবে পালিত হবে এই কর্মসূচি? এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও পাওয়া গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। নেত্রীর ঘোষণা মতো বিজেপির রথযাত্রার পরের দিনই এই ‘পবিত্রযাত্রা’ করবে তৃণমূল। এই কর্মসূচি পালনের নিয়মাবলী সংক্রান্ত নির্দেশিকা বিলি করা হয়েছে জেলায় জেলায়। এই সূত্রে জানা গিয়েছে,লাল পাড় শাড়ি পরে গঙ্গাজল না গোবর জলপূর্ণ মঙ্গলঘট থেকে মহিলারা আম্রপল্লব হাতে জল ছিটিয়ে রাস্তা শুদ্ধ করবেন। দশজন পিছু একজনের হাতে থাকবে জগন্নাথ,বলরাম,সুভদ্রার কাট আউট। তার নীচে লেখা থাকবে,‘ওরা ঠাকুরকে রথ থেকে নামিয়ে নিজেরা রথে উঠেছে-আমরা সেই ঠাকুরকে বুকে রেখেছি।’ পরের সারিতে মেয়েরা শঙ্খ বাজাতে বাজাতে যাবেন। কাঁসর,ঘন্টা,খোল করতাল হাতে থাকবেন পুরুষেরা। এছাড়া পবিত্রযাত্রায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকের হাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর ছবি সহ পতাকা রাখতে হবে। যে বিধানসভার মধ্য দিয়ে দিয়ে যাত্রা করা হবে তার নাম ব্যানারে থাকলেও অন্য কারো নাম ব্যবহার করা যাবে না। সংসদ সদস্য,বিধায়ক থেকে শুরু করে এলাকার দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই কর্মসূচিতে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গে দলের এক বরিষ্ট নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি যেভাবে এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে,তা মোটেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই ধর্ম নিয়ে বিজেপির এই বিভেদের রাজনীতিকে রুখতেই তৃণমূলের এই পবিত্রযাত্রা। একে যেভাবেই হোক সফল করতে হবে,এমনটাই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। এইধরনের যাত্রা তৃণমূলে বিরল বলেই দাবী একাধিক নেতার। আপনার মতামত জানান -