এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বহিরাগত’ টিএমসিপির আক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ নয় জেলা নেতৃত্বের কাছে কলেজ অধ্যক্ষা!

বহিরাগত’ টিএমসিপির আক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ নয় জেলা নেতৃত্বের কাছে কলেজ অধ্যক্ষা!

হুগলি উইমেন্স কলেজে অনুষ্ঠান চলাকালীন বাইরে থেকে আসা বেশ কিছু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অত্যাচারে নিগৃহীত হন অধ্যক্ষা-অধ্যাপিকারা,এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে অধ্যক্ষা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার রাতেই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ছাত্রসংসদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি, ঘটনার বিবরণ বিস্তারে লিখে অভিযোগ জানিয়ে কলেজ প্রশাসক তথা মহাকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন অধ্যক্ষা। প্রসঙ্গত,হুগলি উইমেন্স কলেজে ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু ছাত্রী বাধা দেয় বলে অভিযোগ। প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়,তারপর পরিস্থিতি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। অধ্যক্ষা-অধ্যাপিকাদের হামলা করা হয়,এমনটাও অভিযোগ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ অধ্যাপিকারা অনুষ্ঠান বন্ধ করে কলেজের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং রাস্তাতেই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয় এই খবর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি গোপাল রায় বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষার সঙ্গে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পারস্পরিক আলোচনার পর কলেজে বহিরাগতদের যাতায়াত বন্ধ করার লক্ষ্যে কলেজের ইউনিয়ন রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বছরখানেক ধরেই বহিরাগতদের অত্যাচারে কলেজের পড়াশুনো নষ্ট হচ্ছে,এমনটাই অভিযোগে জানান অধ্যক্ষা।

এর বিরুদ্ধে কোনো গঠনমূলক কর্মসূচি বহুদিন ধরেই নেওয়া হচ্ছিল না। পরিস্থিতি এতোটাই বিগড়ে গিয়েছিল যে,কলেজে অধ্যাপিকারাও কলেজে থাকাকালীন আক্রান্ত হচ্ছিলেন। লজ্জায়-অপমানে ভেঙে পড়েছেন অধ্যাপিকারা। সংসদের ঘরে বহিরাগতরা অনেক রাত পর্যন্তই থাকেন। এটা চলতে পারেনা। এর বিহিত করার অনুরোধ করেন গোপাল বাবুর কাছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না,এমনটাই অধ্যক্ষাকে আশ্বস্ত করে জানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি গোপাল রায়। ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষিকাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকাই বাঞ্ছনীয় এমনটাই বলেন তিনি। এই কলেজে পরিচালন কমিটির পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়নও নেই। গোলমাল এড়াতে ছাত্র ইউনিয়নের ঘর বন্ধ করে দেওয়াই উচিৎ বলে মনে করছেন তিনি। এবং তিনি এটাও জানান,এই অশান্তির ঘটনায় তাঁদের তরফের কোনো সমর্থক যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি গোপালবাবু এই ঘটনার জন্যে অভিযোগের আঙুল বামপন্থী অধ্যাপিকার দিকেই তোলেন। বলেন,তাঁর উস্কানিতেই এরকম ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেল কলেজে। এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে অধ্যক্ষা সীমা দেবী জানান,তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বে বৈঠকে বসে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। এবং আলোচনায় সমস্যা সমাধান হয়েছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে,এমনটাই জানান তিনি।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,এদিন আবার শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের হামলা করেছে শিক্ষাঙ্গনে,এই ইস্যুকে হাইলাইট করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবীতে কলেজের সামনে থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলার আরো একটা সু্যোগ পাওয়ায় সেটাকেই নিজেদের প্রচারমূলক কর্মসূচির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করল গেরুয়াশিবির,এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!