বিজেপি নেতার অপহৃত কন্যার খোঁজ নেই দুদিন পরেও, হেভিওয়েট তৃণমূলী বিধায়ক জনতার তাড়া খেয়ে আশ্রয় নিলেন থানায়! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য February 17, 2019 ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনো হদিশ মেলেনি বিজেপি নেতার অপহৃত মেয়ের। ক্ষোভ ফুঁসছে লাভপুর। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। বিশেষ করে এদিন উত্তপ্ত লাভপুরের উত্তাপ দ্বিগুণ চড়া হল তৃণমূল বিধায়কের ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর। বিক্ষুব্ধ জনতার মুখে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত থানায় আশ্রয় নিতে হয় তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জনতা-পুলিশের বাগবিতণ্ডার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রসঙ্গত,বিক্ষুব্ধ জনতাদের ঠান্ডা করতেই এসেছিলেন লাভপুরের বিধায়ক। কারণ ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছিল রাজ্যসড়কে অবরোধ। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং অ্যম্বুলেন্স ছাড়া আর কাউকেই ছাড়া হচ্ছিল না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল নিত্যযাত্রীরা। সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মালবাহী ট্রাক,বাস এমনকি বাইকও। অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাওয়ায় বিক্ষুব্ধদের বোঝাতেই ঘটনাস্থলে এসেছিলেন বিধায়ক। আর এসে তিনি নিজেই চাপের মুখে পড়ে গেলেন। অবরোধকারীদের সম্মুখীন হয়ে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে হয় বিধায়ককে। তাঁর গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এই প্রেক্ষিতে প্রাণ বাঁচাতে তৃণমূল বিধায়ককে আশ্রয় নিতে হয় থানায়। তারপরও বিধায়কের পিছু ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা। থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে তাঁরা। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ থানা থেকে বেরোতে পারেননি বিধায়ক। এই প্রেক্ষিতে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ পরিস্থিতি আরো উত্ত্যক্ত হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট নিয়ে ছুটে আসে বিক্ষোভকারীরা শেষে কড়া হাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসতে হয় লাভপুর থানার পুলিশকে। এরপর বিশেষ নিরাপত্তা দিয়েই বিধায়ককে বাড়ি পৌছে দেয় পুলিশ। প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ এলাকায় সিপিএম-এর জোনাল কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বর্তমানে বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের বাড়িতে মোটরবাইকে করে যায় মুখ ঢাকা তিন দুষ্কৃতী। সুপ্রভাত বাবুকে না পেয়ে মেয়ে প্রথমা বটব্যালকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সরব হয় এলাকাবাসীরা। অপহরণকারীদের শাস্তির দাবীতে লাভপুর-কাটোয়া রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে তাঁরা। এই অবরোধকারীদের মুখেই আজ প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল তৃণমূলের বিধায়কের। এদিকে,বিধায়কের উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তোলা হয় বিজেপির দিকে। বিজেপির এই বিক্ষোভ-অবরোধের মদত দিচ্ছে এমনটা বলা হয়। গোটা ঘটনাকে ঘিরেই লাভপুরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশ। আপনার মতামত জানান -