রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে এবিভিপির বহর, এবার পোস্টের লাগানো নিয়েও টিএমসিপির সঙ্গে সমানে টক্কর কলকাতা রাজ্য September 5, 2019 লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পরেই দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরের শাখা সংগঠনগুলি তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। যুব থেকে ছাত্র, শাসক দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বিজেপির শাখা সংগঠন। যার ফলে এতদিন রাজ্যের সিংহভাগ কলেজগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ রাজ করলেও বিরোধী ছাত্র সংগঠন হিসেবে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সেখানে প্রবেশ করতেই শুরু হয় সংঘর্ষ। আর বুধবার সেই তৃনমূল ছাত্র পরিষদ বনাম এবিভিপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা গেল উত্তর 24 পরগনার একাধিক কলেজকে। সূত্রের খবর, এদিন কলেজ গেটে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র মধ্যমগ্রাম ও কাঁচরাপাড়া কলেজে এবিভিপি ও টিএমসিপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে পুলিস এসে তা নিয়ন্ত্রণ করে। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে মধ্যমগ্রাম বিবেকানন্দ কলেজে গেটের বাইরে এবিভিপির নেতা কর্মীরা বিভিন্ন দাবিতে পোস্টারিং করে। যাতে নেশামুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস, ভর্তির সময় আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করা, কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করার দাবি তোলা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তাদের অভিযোগ যে, সেই রাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা ওই পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। এদিকে এরপর বুধবার সকালে ফের এবিভিপির কর্মীরা পোস্টার লাগাতে এলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জানা যায়, এদিন এবিভিপির কর্মীদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা। যে ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে সন্ধ্যায় ওই পোস্টার আবার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর মধ্যমগ্রাম কলেজে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, ঠিক তখনই কাঁচরাপাড়া কলেজের সামনে এবিভিপির লাগানো একটি ব্যানার টিএমসিপির কর্মীরা খুলে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠলে গোটা বিষয়টি নিয়ে নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে পুলিস এসে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আর পরপর কলেজ ক্যাম্পাসে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন বনাম বিজেপি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে এহেন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় এবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিন এই বিষয়ে এবিভিপির জেলা সহ সভাপতি উৎপল রায় বলেন, “কলেজ গেটে আমরা পোস্টার ও ব্যানার লাগাতে গেলে মারধর করা হচ্ছে। মধ্যমগ্রাম ও কাঁচরাপাড়ায় আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।” অন্যদিকে বিজেপি অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাণীব্রত চক্রবর্তী বলেন, “মধ্যমগ্রাম ও কাঁচরাপাড়া কলেজে এদিন বহিরাগতদের এনে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেছিল এবিভিপি। ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে তা রুখে দিয়েছে।” সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পরপরই এবার রাজ্যের কলেজগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে পাল্লা দিয়ে এবিভিপির দাপট বাড়ায় শিক্ষাঙ্গনে অশান্তির মেঘ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -