রামমন্দির নির্মাণের সময় প্রথম সোনার ইঁটটি প্রধানমন্ত্রীর কে তুলে দেবেন – জানলে চমকে যাবেন জাতীয় November 11, 2019 বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায়দান সম্পন্ন হয়েছে গত শনিবার অর্থাৎ 9 নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নিযুক্ত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শনিবার জানিয়ে দিল, 2.77 একর জমিতে রামলালা মন্দির নির্মাণ হবে। অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এবার শুরু হবে মন্দির নির্মাণ। আর এই মন্দির নির্মাণের সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রথম সোনার ইঁটটি যিনি তুলে দেবেন, তাঁর নাম শুনলে চমকে যেতে হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মান কল্পে প্রথম ইঁটটি দান করবেন শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর ইয়াকুব হাবিবুদ্দিন টুসি। শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় বেরোনোর পর তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে হিন্দুদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা উচিত মুসলিমদের। এর মাধ্যমে বিশ্বের সামনে ভারতের ভ্রাতৃত্ব ও ধর্মনিরপেক্ষতার নিদর্শন রাখা হবে।’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর হাতে সোনার ইঁট তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি এর আগেও হাবিবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের মামলা চলাকালীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাম মন্দিরের জমি তিনি হস্তান্তর করবেন হিন্দুদের এবং সেখানে একটি সোনার ইঁট দান করবেন। বর্তমানে হায়দ্রাবাদে বসবাসকারী হাবিবুদ্দিন মোঘল নবাব বাহাদুর শাহ জাফরের ষষ্ঠ প্রজন্ম বলেই পরিচিত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সুপ্রিম কোর্টের মামলা চলাকালীন 8 ফেব্রুয়ারি হাবিবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টে জানান, রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় তিনি অন্তর্ভুক্ত হতে চান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় কোনো পক্ষের কাছেই মালিকানার নথি নেই। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর হওয়ায় আমার মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।’ প্রথম থেকেই দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেছিলেন, অযোধ্যা মামলার রায় বেড়ানোর সাথে সাথে দেশে এক অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদী সরকার বললেও এই সরকার হিন্দু ও মুসলিম উভয়কেই সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধতে পেরেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে অযোধ্যা মামলার রায়কে হিন্দু মুসলিম দুই ভিন্ন জাতি একইভাবে সম্মান জানিয়েছে। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -