এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূলের অস্ত্র “গোপনে বুথ অভিযান”! চাঙ্গা হচ্ছে নীচুতলা?

উত্তরবঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূলের অস্ত্র “গোপনে বুথ অভিযান”! চাঙ্গা হচ্ছে নীচুতলা?

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে যেভাবে সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি তাদের বিস্তার ঘটাতে শুরু করেছিল, এবার এনআরসি ইস্যুতে সেই বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের। বস্তুত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতেই জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যেখানে ব্যতিক্রম ছিল না আলিপুরদুয়ার জেলাও। এখানকার কুমারগ্রাম বিধানসভায় 28 হাজার ভোটে লিড নিয়ে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দেয় বিজেপি। যার ফলে তৃণমূলের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খায় বলে দাবি করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে সাফল্য পেলেও, এবার যত দিন যাচ্ছে, ততই তাদের সংগঠন তিমিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন একাংশ।

জানা গেছে, বর্তমানে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সব জায়গা উত্তপ্ত। তৃণমূল দাবি করছে, বিজেপি এনআরসি নিয়ে সাধারন মানুষের উপর ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বিজেপি তৃণমূলের এই দাবির পাল্টা দাবি করতে শুরু করেছে। তবে এনআরসিকে ইস্যু করে তৃণমূল যেভাবে প্রচার করছে, তাতে বিজেপির সমর্থন দিনকে দিন কমছে বলেই মনে করছেন একাংশ। এমনকি এই সুযোগে তৃণমূল তাদের সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশমতো অত্যন্ত গোপনে প্রতিটি বুথ ধরে ধরে দলের ঘরছাড়া নেতাদের যেমন ঘরে ফেরাচ্ছে তৃণমূল, ঠিক তেমনই এনআরসির বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধীতার প্রচার করে চলেছে তারা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই খোয়ারডাঙ্গা 1, 2 এবং ভলকা 1,2 অঞ্চলে 300 জন ঘরছাড়াকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। পাশাপাশি 250 টি বিজেপি সমর্থক পরিবারকেও নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে ঘাসফুল শিবির।

তবে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরালেও তৃণমূল সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে বুথস্তরের সংগঠনকে তৈরি করতে। কেননা আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুথভিত্তিক সংগঠন শক্তিশালী করলেই যে তাদের অনেকটা লাভ হবে, সেই ব্যাপারে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। আর তাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করে এবার নিজেদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিচ্ছে তারা বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগে দলের কাজ কেমন করে চলছিল জানি না। কিন্তু আমি ব্লক সভাপতি হওয়ার পর দলের মধ্যে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার নীতি বন্ধ হয়েছে। এবার থেকে দলের যাবতীয় কাজের সমালোচনা এবং সাংগঠনিক কাজ বুথ কমিটির মধ্যে করতে হবে। বাইরের কাজের কোনো সমালোচনা করলে সেই নেতাকে দল থেকে তাড়ানো হবে।”

অর্থাৎ আগে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা নেই বলে অনেক নেতা বীতশ্রদ্ধ মনোভাব পোষণ করলেও এবার বিজেপির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তৃনমূল দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রথমে তৎপর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তৃণমূল তাদের সংগঠন বাড়ালেও এনআরসিকে নিয়ে বিজেপি তো অনেকটাই চাপে পড়তে শুরু করেছে এখানে! এদিন এই প্রসঙ্গে কুমারগ্রাম বিধানসভায় বিজেপির সংযোজক মনোজ ওরাও বলেন, “এটা ঠিক যে এনআরসির জেরে দল কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে দলের সংকল্প যাত্রার পর কুমারগ্রামে দল ফের চাঙ্গা হচ্ছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!