অযোধ্যায় রামমন্দির – কেন্দ্র সরকারের ট্রাস্টে থাকতে চলেছেন কারা – শুরু তীব্র জল্পনা জাতীয় November 11, 2019 গত শনিবার বির্তকিত অযোধ্যা মামলার রায় বেরিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের তরফে পাঁচ বিচারপতি নিযুক্ত সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল বিতর্কিত 2.77 একর জমি মন্দির তৈরীর জন্য দেওয়া হলো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ট্রাস্টকে। অন্যদিকে মামলার আরেক পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যাতে 5 একর জমি পাবে মসজিদ বানানোর জন্য। তবে এই পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি ট্রাস্ট তৈরি করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। আর এই ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারা থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকার নির্মিত ট্রাস্টি বোর্ডে? ভেসে উঠছে অনেকগুলি নাম। আগামী বছরের রামনবমীর পরেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে। তবে মন্দির গঠনের জন্য সেই ট্রাস্টে কারা থাকবেন সে নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে রাম জন্মভূমির জন্য একটি ট্রাস্ট নিয়োগ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। যারা মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বিতর্কিত জমিসহ বাড়তি 67 একর জমি যা কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করেছিল তা ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে হবে নির্দেশমত। এপ্রিলে রামনবমীর পরেই আশা করা হচ্ছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে ট্রাস্টে কারা সদস্য হবেন তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে পুরো ব্যাপারটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে জমির ওপর নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সংঘ সূত্র থেকে জানা গেছে, রাম জন্মভূমি ন্যাসের সাথে নির্মোহী আখড়ার বহুদিনের বিবাদ। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে নির্মোহী আখড়ার কোন প্রতিনিধিকে ট্রাস্টি বোর্ডে নিয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে, নির্মোহীরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছে। যদিও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, যোগগুরু রামদেব আজ অজিত দোভাল এর বাড়িতে দেখা করেন। সূত্রের খবর, সোমনাথ মন্দিরের ন্যায় অযোধ্যা রাম মন্দির প্রকল্পে ট্রাস্ট গঠন করা হবে। তবে সেই ট্রাস্টে অমিত শাহের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ থাকতে পারেন বলে খবর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে জানা গেছে। আপাতত রায় পর্যালোচনা করে দুই-তিনদিনের মধ্যেই ট্রাস্টি বোর্ড গড়ার কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে অনেক। সরকারকে ঠিক করতে হবে মন্দির কার অর্থে হবে? সোমনাথের পর রাম মন্দিরও কি সরকারের টাকায় হবে? নাকি ট্রাস্ট অর্থ জোগাড় করবে? সর্বোপরি এই ট্রাস্টের সদস্য কারা হবেন? তবে এ তোর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলি বেশ বেশ সাবধানী। প্রত্যেকেই নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় যথেষ্ট সংযমী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপাতত ভারসাম্য রক্ষার ভার কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে তামাম রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -