এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের নামে অন্য দলের সাইবার সেলের তথ্য সংগ্রহ? ঘুম উড়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতাদের!

পিকের নামে অন্য দলের সাইবার সেলের তথ্য সংগ্রহ? ঘুম উড়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতাদের!

 

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর তৃণমূলের রণনীতিকারের দায়িত্ব নিয়েছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। আর তারপরেই দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা তৃণমূল দলকে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন তিনি। নীচুস্তর পর্যন্ত ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা, তা জানতে মাঝেমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে ফোন যাচ্ছে তৃণমূলের সেই সমস্ত নেতাদের কাছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতাদের মনে ভয়, আশঙ্কা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে।

কেননা প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকেই যে ফোন যাচ্ছে, সেই ব্যাপারটিতে নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউই। জানা গেছে, ফোনের ওপাশ থেকে কেউ তথ্য চাইলেই তাকে কিভাবে নিশ্চিত ভাবে সেই তথ্য দেওয়া যাবে! তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর। আর যার জন্য তাদের মনে একটা “কিন্তু” ভাব থেকেই গেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি তারা কলকাতা দক্ষিণের জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমারের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন।

বস্তুত, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের তরফ থেকে যেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলার নেই, সেখানে ওয়ার্ড সভাপতির কাছ থেকে নিজের নিজের ওয়ার্ড পিছু তিনজন করে সক্রিয় কর্মীর তালিকা চাওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জেলা তৃণমূল সভাপতির অফিস থেকে ফোন করে সেই তিনজনের নামের তালিকা হচ্ছে। কিন্তু এতেই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর। তাদের মতে, “ফোনটা যে প্রশান্ত কিশোরের অফিস থেকেই আসছে, এটা নিশ্চিত হব কিভাবে! সুযোগ বুঝে অন্য রাজনৈতিক দলের কেউ তো ফোন করে এই তথ্য জেনে নিয়ে দলকে বিপাকে ফেলতে পারে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গ উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার এক কাউন্সিলর বলেন, “যার নাম পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে যে চিনি, তা নয়। অথচ তিনজনের নাম দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বুথে বুথে কে আমাদের ঘনিষ্ঠ, তা আমরা কোন ভরসায় ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির হাতে তুলে দেব! আমাদের সেই কারণেই রাজ্যের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ফোন করে যাচাই করতে হচ্ছে। তারপর বুথ ভিত্তিক 3 জন কর্মীর নাম দিতে হচ্ছে।

কিন্তু শুধু নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি। পরবর্তীতে ওয়ার্ড এবং কাউন্সিলরদের কাজকর্মের বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তাই ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে আমরা বিশ্বাস করব কিভাবে!” আর কাউন্সিলরদের এই সমস্ত আশঙ্কা যে স্বাভাবিক, তা উপলব্ধি করতে পারছেন দলের অধিকাংশ নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা দক্ষিণের এক তৃণমূল নেতা বলেন, ” সত্যি তো তাই। এভাবে কোনো তথ্য দেওয়া যায় না। অন্তত নির্দিষ্ট একটি সাংকেতিক কোড ব্যবহার করলে কাউন্সিলর বা নেতারাও নিশ্চিত হতে পারেন। এখন আমাদের যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দল, তাদের সাইবার সেলের ক্ষমতা অনেক বেশি। ওই দলের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন, তাদের ভাবনাচিন্তা অনেক এগিয়ে রয়েছে।”

আর এখানেই সকলের প্রশ্ন, এত জনসংযোগ কর্মসূচি মূলক পরিকল্পনা করলেও, যদি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এই আশঙ্কা সত্যি হয়, তাহলে তো তৃণমূলের সমস্ত কিছু ব্যথা চলে যাবে। সেদিক থেকে যদি আশঙ্কা অনুযায়ী অন্য দলের নেতাকর্মীদের ভুলবশত ফোনের মাধ্যমে যাচাই না করে তৃণমূলের কাউন্সিলার থেকে নেতারা তথ্য দিয়ে দেন, তাহলে যে তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন তৃণমূলের অধিকাংশ কাউন্সিলরদের এই শঙ্কা কাটাতে এবং ফোনের নিরাপত্তা অটুট রাখতে ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!