তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে এই 18 টি আসন দখলের নীল-নকশা তৈরি করে ফেলেছে মিম? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 17, 2019 সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম বাংলায় প্রবেশ করছে বলে নাম না করে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এআইএমআইএমকে বাংলায় বিজেপি প্রবেশ করাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদের আঠারোটি বিধানসভা কেন্দ্রকে টার্গেট করেছে সেই এআইএমআইএম। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে প্রবল চিন্তার কারণ বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে গুরুত্ব দিচ্ছে হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দলটি। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে তারা। সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেদের মতাদর্শ প্রচার করে সদস্য বাড়ানোর দিকে উদ্যোগী হয়েছে এই রাজনৈতিক দল। মূলত, যুবকদের সংগঠনে এনে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে এআইএমআইএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে এই কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। তবে পুলিশ প্রশাসন বেশ কিছুদিন হল সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিসক্রিয়তা বজায় রাখার কারণে সেখানে সক্রিয়তা কমেছে মিমের। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষেই গিয়েছে। যার ফলে জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বহরমপুরেও তৃণমূলের ভোট পেয়েছে। তবে হায়দ্রাবাদের এই সংগঠন যদি এই জেলায় তাদের বিস্তার ঘটাতে শুরু করে, তাহলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট তাদের দিকেই যাবে বলে মনে করছে একাংশ। আর তা যদি হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এখানে অনেকটাই বিপাকে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশ প্রশাসন মারফত জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর যেভাবে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে, তাতে এই হায়দ্রাবাদের রাজনৈতিক দলটির হাত রয়েছে। তারাই গন্ডগোল করে রাজ্যের পরিস্থিতিকে অশান্ত করতে চাইছে। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে তারা। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের দেরি থাকলেও, রাজ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত যে সমস্ত জেলাগুলি রয়েছে, সেই মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং বীরভূমের মত জেলায় নিজেদের সংগঠন বিস্তারের দিকে মনোযোগী হয়েছে এআইএমআইএম। যদিও বা হায়দ্রাবাদের এই সংগঠনটি মুর্শিদাবাদ জেলায় তাদের সংগঠন বিস্তারের মনোযোগী হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, “আমাদের আমলে কি কি উন্নয়ন হয়েছে, তা জেলার মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই বাইরে থেকে কেউ এসে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করলে সফল হবে না। প্রত্যেক জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে। তাই অপপ্রচার করে লাভ নেই। মানুষ আমাদের সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।” তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় যদি হায়দ্রাবাদের সংগঠন তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করে, তাহলে সংখ্যালঘু ভোট কি হবে! এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -