জেলাস্তরে নেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি, ক্ষোভ বিজেপির অন্দরে কলকাতা রাজ্য January 6, 2020 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সারা রাজ্য থেকে 18 টি আসন পেলেও, তা যে শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিকেই পেয়েছিল, তা বুঝতে বাকি নেই বঙ্গ বিজেপির। আর তাইতো সংগঠন না থাকায় সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যার কারণে ইতিমধ্যেই জোর লাগিয়ে জেলায় জেলায় নতুন সংগঠন তৈরি করতে শুরু করেছে পদ্ম শিবির। কিন্তু শিলিগুড়িতে একসময় বিজেপির ভালো সংগঠন থাকলেও, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর সেখানে সংগঠন ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে বিজেপি লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বুথ, মন্ডল এবং জেলা স্তরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। প্রসঙ্গত, গত 7 ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের জন্য জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন অভিজিৎ রায় চৌধুরী। আর ফেরার সময়েই পথ দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আর তারপরই গোটা শিলিগুড়ি বিজেপির অন্দরে শোকের আবহ তৈরি হয়। অভিজিতবাবুর মত দক্ষ সংগঠকের চলে যাওয়াতে রীতিমতো হতাশ হয়ে যায় গোটা পদ্ম শিবির। কিভাবে মেরামতি সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন সকলেই। যার পরবর্তীতে সেই অভিজিৎবাবু জায়গায় শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীণ আগরওয়ালকে। কিন্তু দায়িত্ব পেতে না পেতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফলে তৃণমূলের চাপ আসতে শুরু করে বিজেপির উপর। যা নিঃসন্দেহে বিজেপি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।তবে সাংগঠনিক শক্তি থাকলে যে তৃণমূলের এই চাপ মোকাবিলা সম্ভব, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বিজেপির একাংশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়িতে বিজেপির কোনো সংগঠনেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায়, শাসকদলের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মত একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, পুরনো জেলা কমিটিতে এখনও পর্যন্ত দুই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা রয়েছে। সামনেই শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন। ফলে তার আগে জেলা কমিটি নতুন করে তৈরি হবে, নাকি পুরনো জেলা কমিটি রাখা হবে! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে ধন্দ। কিন্তু সংগঠনের জোর না থাকলে কিভাবে শাসকদলের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে! যেখানে বিজেপি বাংলাকে পাখির চোখ করেছে, সেখানে উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট আসন শিলিগুড়িতে যদি তারা ভালো ফল করতে চায়, তাহলে তাদের সংগঠনকে তো অবিলম্বে চাঙ্গা করতে হবে! কেন এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, “নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় সমস্যার কিছু নেই। আমাদের যে কাঠামো আছে, তাতে নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা বা না করা নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না। পুরনো কমিটিই কাজ করছে। আমরা বসে নেই। পুরসভার প্রত্যেকটা মন্ডল নিয়ে একটা মিটিং হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে।” তবে জেলা সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, যত দিন যাচ্ছে, ততই তো সময় দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই যদি অবিলম্বে কমিটি গঠন না করা হয়, তাহলে বিজেপির সংগঠনের যে বড় সংকট দেখা দিতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -