এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট আটকাতে ঢাল করোনা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর!

ভোট আটকাতে ঢাল করোনা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর!

বর্তমানে চরম টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে মধ্যপ্রদেশে। প্রায় 22 জন কংগ্রেস বিধায়ক তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যার পরে অস্বস্তিতে পড়েছে সেখানকার কংগ্রেস সরকার। আদৌ সরকার টিকবে কিনা, তা নিয়ে এখন চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। সম্প্রতি এই মধ্যপ্রদেশ আস্থা ভোটের দাবি করে ভারতীয় জনতা পার্টি। সোমবার সেই আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এই আস্থা ভোট আটকাতে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের কাছে প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠল করোনা ভাইরাস।

 

সূত্রের খবর, এদিন বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মাঝেই এই করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ। সাথে সাথেই তা গ্রহণ করে আগামী 26 মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করে দেন মধ্যপ্রদেশের স্পিকার নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতি। আর এতেই কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে কংগ্রেস শিবির।

তবে বিকেলে রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে চিঠি পাঠানোর পরেই মঙ্গলবার আস্থা ভোট হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে অনেকে বলছেন, রাজ্যপাল বিধানসভার এই কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। সূত্রের খবর, এদিন সকাল 11 টার সময় মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল বিধানসভা ভবনে উপস্থিত হলে কংগ্রেস বিধায়করা তাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন। যেখানে তারা দাবি করেন, হাউসকে সম্মান করুন এবং সংবিধান মেনে কাজ করুন। দেশজুড়ে করনা ভাইরাসের জন্য এদিন কংগ্রেস বিধায়করা অধিবেশনে মাস্ক পড়ে উপস্থিত হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে শাসকদলের বিধায়করা তাকে উদ্দেশ্য করে প্রবল বিক্ষোভ দেখানোয় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমি সকল নেতাকে বলতে চাই, তারা সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং আইন মেনে চলুন।” কিন্তু এতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাজ্যপালের বক্তব্যের পরেও নিজেদের বিক্ষোভ চালাতে থাকে মধ্যপ্রদেশের শাসকদলের বিধায়করা। পরবর্তীতে অধিবেশন আগামী দোসরা মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেন রাজ্যপাল নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি। তবে কংগ্রেস এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আস্থা ভোটকে পিছিয়ে দিলেও, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে করোনা ভাইরাসকে ঢাল করে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার আস্থা ভোটকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও, রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, মঙ্গলবারই মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারকে আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হবে। তবে রাজ্যপালের চিঠি পাওয়ার পরই ইতিমধ্যে রাজভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মঙ্গলবার আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হয় কংগ্রেসের সরকারকে, নাকি কিছুদিন স্থগিত থাকে এই ব্যাপার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!