দলবদলে চাপ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হেভিওয়েট বিজেপি নেতার উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দলবদল বহু আগে থেকেই। দলবদলের শুরু সেই লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে। তবে এই দলবদল একমুখী হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঝাঁকে ঝাঁকে নেতা মন্ত্রী দলবদল করে তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে গেছেন। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির থেকে আপাতত দলবদল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বয়ং কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এই ঘোষণা করেছেন ফলাও করে। অন্যদিকে ব্যাপক দলবদল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে যে ব্যাপক চাপের মুখে ফেলেছে তা এক কথায় বলে দেওয়া যায়। বিগত দিনে হয়ে যাওয়া দলবদল নিয়ে বরাবর শাসকদল অভিযোগ জানিয়ে এসেছে, বিরোধী দল বিজেপির চাপের কাছে নতিস্বীকার করে দলবদল করেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এবার একই অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ করেছেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল থেকে বর্তমানে তাঁদের দলের নেতাদের ওপর বিভিন্ন রকম ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি এই ঘটনার পেছনে থাকার অভিযোগ করেছেন শিলিগুড়ির তৃণমূল মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে। এমনকি এরকম চলতে থাকলে গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়ে ধর্না দেওয়া হবে বলে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গৌতম দেব জানিয়েছেন, পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়ক সুনীল সিং এবং বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর। আর তার মধ্যেই বিজেপির এই অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শোনা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর তাঁকেই আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল বলে অভিযোগ উঠেছে। জয়দীপ নন্দী নিজে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতারা এত ফোন করছেন তাঁকে যে তিনি ফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে চাননা বলার পরেও ফোন আসছে। যথারীতি এই ঘটনার সূত্র ধরে এবার ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর যদি এভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে রাজ্যের শাসক দল কিন্তু রীতিমতো কোণঠাসা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি একুশের লড়াইয়ে সেনা কম পড়ছে? আজ উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে চলেছেন। তার আগেই যেভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এল বিজেপি, তাতে রাজনৈতিক উত্তাপ যে আরও বাড়তে চলেছে, সে ব্যাপারে একমত রাজনীতির কারবারিরা। আপনার মতামত জানান -