দুঃস্থদের দিকে চেয়ে এবার তাদের জন্য গেরুয়া শিবির আনছে মোদী কিট, জেনে নিন কি থাকবে তাতে জাতীয় রাজ্য March 28, 2020 দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশব্যাপী 21 দিনের লকডাউন জারি করেছেন। যে লকডাউন আজ তৃতীয় দিনে পড়ল। লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু সমাজের অন্য অংশও রয়েছে, যেখানে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি অবস্থান করে। যারা এই লকডাউনের জেরে ঠিক করে খে্তে পর্যন্ত পাচ্ছেনা। টাকা পয়সা কম থাকার দরুণ তাঁরা একবেলার খাবারও জোটাতে পারছেননা। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার বিজেপি সরকার গরিবদের জন্য কীট বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জানা গেছে, এই কিটে রেশনের পাশাপাশি নিত্য ব্যবহৃত দ্রব্যাদিও থাকবে। এই কীটটির নাম দেওয়া হয়েছী ‘মোদী কিট’। এবার সাধারণ গরিব মানুষদের জন্য বিজেপি ও আরএসএস সংঘবদ্ধভাবে নিয়ে আসতে চলেছে ‘মোদি কীট’। জেনে নেওয়া যাক, এই ‘মোদি কীটে’ কি কি থাকবে। সূত্রের খবর, গরিব জনগণের কাছে যে ‘মোদী কিট’ পৌঁছাবে, তাতে থাকবে 2 কেজি তেল, 2 কেজি চাল, 1 কেজি ডাল,হলুদ , সর্ষে ধনে, চা, ছোলা, 4 টে পোশাক, 1 টি সাবান, আটা ও বিস্কুট। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সারা দেশবাসীর বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ, সেখানে কিভাবে আরএসএস ও বিজেপি কর্মীরা দুঃস্থদের কাছে কীট পৌঁছে দিতে পারবেন? অন্যদিকে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, জমায়েত না করে এই কিট কিভাবে পৌঁছানো সম্ভব! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুতে বজরং দলের সদস্যরা দুঃস্থদের মধ্যে খাবারের প্যাকেট বিলি করা শুরু করেছেন। গরীব মানুষের পাশাপাশি এই খাবারের প্যাকেট পুলিশকর্মীদের হাতেও তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি যেসব ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা করোনার সঙ্কট মুহূর্তে ঘরে ফিরতে পারেননি, তাঁদের জন্যও খাবার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 800 ছুঁই ছুঁই। সংক্রমণ আটকাতে ভারতে চলছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউন জারি হওয়ার পরেও কিছু মানুষকে রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে বিনা কারণে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ এড়াতে জোর দিয়েছেন সামাজিক দূরত্বের উপর। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ক্রমাগত মানুষজনের কাছে ঘরে থাকার আপিল করে চলেছেন। সারাদেশের কাছে এখন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়াই মূল লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে সচেতনতা এবং সর্তকতাই যে সবথেকে বড় অস্ত্র, সে কথা অনস্বীকার্য। আপনার মতামত জানান -