এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় বিশাল সংখ্যায় ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত! বড়সড় পদক্ষেপ ডক্টরস ফোরামের!

বাংলায় বিশাল সংখ্যায় ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত! বড়সড় পদক্ষেপ ডক্টরস ফোরামের!

প্রথমদিকে বাংলা করোনা মোকাবিলা করতে যথেষ্ট তৎপর বলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল। আর সরকারের এই দাবি সাধারণ মানুষের মনে তৈরি করেছিল আশার আলো। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারন করতে শুরু করেছে। যখন অন্যান্য রাজ্যগুলোতে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমছে, তখন তা বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবাংলায়। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছেই।

আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য থাকা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসক-নার্সদেরও করোনা গ্রাস করছে বলে এবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে গোটা ব্যাপারটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্য সরকারের চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে।

সূত্রের খবর, এদিন এই চিকিৎসক সংগঠনের সভাপতি অর্জুন দাশগুপ্ত এবং সম্পাদক কৌশিক চাকি রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে তারা জানিয়েছেন যে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত 140 জনের বেশি মানুষকে এখনও পর্যন্ত করোনা গ্রাস করেছে। আর যেখানে সাধারন মানুষকে সুস্থ করা চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ত্ব, সেখানে যদি সেই চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থকর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে পরিস্থিতি সত্যিই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে 140 জন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে যে দাবি করলেন ফোরামের সদস্যরা, তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক কৌশিক চাকী বলেন, “চিকিৎসা পরিষেবা সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ না কেউ প্রতিদিনই করোনাৎ আক্রান্ত হচ্ছে। নতুন করে একটি হাসপাতালে তিনজন প্রসূতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কোনো উপসর্গ ছিল না।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে চলে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত 140 জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যারা চিকিৎসা পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত। আমরা বিষয়টা রাজ্যকে জানিয়েছি। রাজ্যে এমন পরিস্থিতিতে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আর তা করতে গেলে আরও বেশি হাসপাতাল এবং ল্যাবরেটরীতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।”

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে উত্তর দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি বিষয় আমরা বিবেচনা করে দেখব। কিন্তু যদি সত্যিই চিকিৎসক সংগঠনের এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে করোনা মুক্ত করতে চিকিৎসকরা কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কেননা একের পর এক যদি চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্সেরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে তাদের সংস্পর্শে এসে অন্যান্য ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হয়ে যাবেন। যার ফলে তৈরি হবে সমস্যা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা তো দূর অস্ত, উল্টে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন বিশ্বষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এখন এই সমস্ত বিষয় উপলব্ধি করে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!