এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান বাজানো নিয়ে গর্জে উঠলো সরকারি কর্মীরা, বাড়ছে ক্ষোভ ! কলকাতা রাজ্য May 9, 2020 রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও বেজেছে মমতার লেখা করোনা সতর্কতার গান , যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও পাশাপাশি এবার এর তীব্র বিরোধিতা করলো সরকারি কর্মচারী পরিষদ। এদিন এই নিয়ে গর্জে ওঠেন কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল। এখন আতঙ্কের আর এক নাম করোনা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই করোনা নিয়েও – ‘ভিড় থেকে সবাই দূরে থাকো, করোনাকে ছুঁতে দিও না’। গেয়েছেন আর সেই গান ইন্দ্রনীল সেন। গত গত দেড় মাস ধরে কলকাতায় রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে কিংবা গোটা রাজ্যের সিগনালে এই গান শুনছেন সাধারণ মানুষ।করোনা কোভিড-১৯ সতর্কতায় সাধারণ মানুষকে সাবধান করতে এখন এই গান বাজানো হচ্ছে । এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু গোল বাধে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে। গতকাল ছিল রবীন্দ্র জয়ন্তী। সেই হেতু অন্যবারের মতো রবীন্দ্রনাথের লেখা গান ,কবিতা সমস্ত সিগনালে বাজানো হয় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে। এবারেও তাই হয়েছে তবে তার সাথে অতিরিক্ত সংযোগন – রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও জেলায় জেলায় গুরুদেবের গানের সঙ্গেই বাজানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা করোনা সতর্কতার গানও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যাচ্ছে ইচ্ছা করে তা বাজানো হয়নি ,রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহা নির্দেশক (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নির্দেশে রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও বেজেছে মমতার লেখা করোনা সতর্কতার গান। আর এইসব ঘিরেই বাংলায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রাজ্য পুলিশের নির্দেশকে কবিগুরুর প্রতি ‘চরম অপমান’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। পাল্টা, গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতির’ অভিযোগ তুলেছে জোড়া-ফুল শিবির। প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক (আইন-শৃঙ্খলা) সব জেলাকে নির্দেশ দেন, শুক্রবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন কবিগুরুর নির্দিষ্ট কিছু গানের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া গান গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে যেন সকাল ৯টা থেকে দপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাজানো হয়। আর্স এই উপরওয়ালার নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই বিপাকে পড়েছে পুলিশ বাহিনী। আর এই নির্দেশনামার প্রতিবাদে এদিন দেবাশিসবাবু জানান যে, “আমরা মনে করি যে সুলভে শৌচালয় নির্মাণ, রাস্তার ডিভাইডার নীল সাদা রঙ করা থেকে শুরু করে আজকে করোনা কোবিদ-১৯ আবহে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন বিপন্ন , মৃতের হার যে রাজ্যে সর্বাধিক সেখানে ক্লাবদের টাকা বিলি ইত্যাদি সবেতেই “বাংলার গর্বের” বিজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বৈরাচারী করে তুলছে। এখন আর রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন মাননীয়ার অনুপ্রেরণাতে থেমে নেই। বিশ্বকবি, মানব সভ্যতার মহান দার্শনিক, বাঙালীর মননে, হৃদয়ে চির বিরাজমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সাথে মমতা সঙ্গীত ও পরিবেশন করার ফতোয়া জারি করা হল।আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। উনি যতই নিজেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমকক্ষ ভাবুন না কেন, আদতে সাধারণ মানুষ জানেন উনি কি , সুতরাং কোনো বাঙালী এটা মেনে নেবে না। একেই বলে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।” তিনি আরো বলেন যে, “আমার কাছে লোকজন ফোন করে বলছেন – এগুলো কি হচ্ছে? কবিগুরুকে এইভাবে অপমান মেনে নেওয়া যায়না। সরকারি কর্মীদের মনেও এইসব মুখ্যমন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে , সাধারণ মানুষের মধ্যেও বাড়ছে ক্ষোভ, যার প্রতিফলন হবে ভোটের বাক্সে। আপনার মতামত জানান -