এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > প্রতিবাদ ভুলে তৃণমূলীকে স্বাগত এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার! রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তীব্র

প্রতিবাদ ভুলে তৃণমূলীকে স্বাগত এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার! রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তীব্র


করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। একের পর এক পৌরসভায় বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসক। আর এই প্রশাসক পদে বসানো হচ্ছে সেই পৌরসভার বিদায়ী মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের। ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার পর শিলিগুড়ি পৌরসভায় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিলিগুড়ি পৌরসভায় বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য্য সহ সেখানে তৃণমূলের বেশকিছু কাউন্সিলরকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।

যার পরেই তার বিরোধিতা করতে দেখা যায় সেই অশোক ভট্টাচার্যকে। পরবর্তীতে সেই বোর্ডের সদস্য পদে সংশোধন করে রাজ্য সরকার। কিন্তু বিরোধীদের তরফ থেকে যে যে পৌরসভায় তৃণমূল বিরোধী আসনে রয়েছে, সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের কেন রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে আপত্তি জানানো হলেও, এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেল কংগ্রেসের দখলে থাকা জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান সুজিত সরখেলকে।

সূত্রের খবর, রবিবার জয়নগর পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর এর পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে পৌরসভা পরিচালনার জন্য বর্তমান পুরপ্রধান, উপ পুথপ্রধানকে নিয়ে একটি বোর্ড তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে রাখা হয়েছে তৃণমূলের দুই জন কাউন্সিলরকেও। আর বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পৌরসভায় এই ঘটনা ঘটলে অশোক ভট্টাচার্য সাথে সাথে প্রতিবাদ করায় এই পৌরসভার যেহেতু কংগ্রেসের দখলে রয়েছে, সেহেতু কংগ্রেসের বিদায়ী চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ করবেন বলে মনে করা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে বাম এবং কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে প্রশাসক বোর্ডের মাথায় থাকা বিদায় পৌরপ্রধান সুজিত সরখেল তৃণমূলকে নিয়েই কাজ করার কথা জানিয়ে দিলেন। যার ফলে এখন রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। সূত্রের খবর, রবিবার জয়নগরের কংগ্রেস কার্যালয় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদায়ী চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল। যেখানে তিনি বলেন, “পৌরসভা পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকার চার সদস্যের প্রশাসনিক বোর্ড করে দিয়েছে‌। সেই দলে দুজন তৃণমূল কাউন্সিলর আছেন। আমি তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, “রাজনীতি ভুলে সকলে মিলেই এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে চাই। বেছে বেছে বিরোধী পৌরসভাগুলোর প্রশাসনিক বোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের রাখা হয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন করব, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা আনতে প্রতিটি পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডেই বিরোধী কাউন্সিলরদের রাখা হোক। পুরো এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে এই আবেদন জানিয়েছি।” আর কংগ্রেসের বিদায়ী চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যে এখন শুরু হয়েছে জল্পনা।

যেখানে বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধী কাউন্সিলরদের বোর্ডে রাখা নিয়ে আপত্তি জানানো হচ্ছে, সেখানে জয়নগর-মজিলপুর পৌরসভার কংগ্রেসের বিদায়ী চেয়ারম্যান সেই বিরোধী কাউন্সিলরদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলায় বাম এবং কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। অনেকে বলছেন, আসলে সুজিতবাবু তৃণমূলের সঙ্গে এখন বোর্ড চালাতে চাইছেন। ক্ষমতার মায়া ত্যাগ করতে না পেরেই তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে অপর অংশ আবার বলছে, সুজিতবাবুর এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে তিনি এবার কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন।

সুজিতবাবুর বিরোধীরা প্রকাশ্যেই বলছেন, সুজিতবাবু এখন তৃণমূলমুখী! এক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা কারোর অজানা নয়! আর তাই হয়ত দল একমত প্রকাশ করলেও, তিনি বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূলকে নিয়েই বোর্ড চালানোর কথা বলে দলের মতকে খন্ডন করে দিলেন। কিন্তু এর ফলে কি দলের বিরাগভাজন হবেন না এই সুজিত সরখেল! এখন তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে যেদিকেই পরিস্থিতি যাক না কেন, সুজিতবাবুর এই মন্তব্যের ফলে বাম এবং কংগ্রেস যে ব্যাপকভাবে চাপে পড়ল, তা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!