বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এদিন তিনি বড়সড় ঘোষণা করলেন। চতুর্থ দফার লকডাউন মিটে গেলেই আগামী ১ লা জুন, সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারা খোলা যাবে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলায় এই মুহূর্তে ঢুকছে পরিযায়ী শ্রমিকরা, তার উপরে কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া আমপানের দাপটে সব লন্ডভন্ড! এই অবস্থায় করোনা সংক্ৰমণ হুহু করে বাড়ছে। তা সত্ত্বেও কেন ধর্মীয় স্থান নিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত? এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ট্রেনে গাদাগাদি করে যদি এতো লোক আসতে পারে, তা হলে মন্দির, মসজিদ খুলতে কী অসুবিধা?

একই সঙ্গে তিনি জানান, বরং এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে মানুষ একটু প্রার্থনা করার সুযোগ পাবে। তাই কাল থেকেই মন্দির, মসজিদ খুলে যাবে। না থাক কাল থেকে খোলার দরকার নেই। অনেক দিন ধরে মন্দির, মসজিগ, গুরুদ্বারাগুলো বন্ধ রয়েছে। কোথাও সাপ ব্যাঙ ঢুকে বসে আছে। কোথাও ইঁদুর-বাদুড় ঢুকে আছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়ে দেন, পরিষ্কার করতে অন্তত ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে। তাই সোমবার, ১ লা জুন থেকে বরং খোলা যেতে পারে সব ধর্মস্থান। একই সঙ্গে অবশ্য তিনি সাবধান করে জানিয়ে দেন, এক সঙ্গে ১০ জনের বেশি কোনও ধর্মস্থানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে ধর্মস্থানে কোনও জমায়েতও করা যাবে না।