এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার করোনা ঢেউ সামাল দিতে এবার রাজ্য সরকার নিতে চলেছে ৫০০ চুক্তিভিত্তিক ডাক্তার-নার্স

বাংলার করোনা ঢেউ সামাল দিতে এবার রাজ্য সরকার নিতে চলেছে ৫০০ চুক্তিভিত্তিক ডাক্তার-নার্স


সম্প্রতি দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক প্রবেশ করতে শুরু করেছে তা অবশ্যই রাজ্যের অনুমতিতে।সূত্রের খবর কিন্তু এই পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় পদার্পণের পরেই বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে রাজ্যের তরফে। জানা গেছে গত শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়নস্বরূপ নিগম তার বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন।

এরপর এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব স্পষ্টভাবে জানান, “পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাই জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি জেলায় চুক্তিতে ডাক্তার, নার্স ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছে।” স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে আসার পর থেকেই করোনা সংক্রমণ ক্রমাগতই চোখরাঙিয়ে যাচ্ছে।

তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৫৭ টি বেসরকারি এবং ৬৪ টি সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এমনটাই স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও এবার করোনা সংক্রমণকে ঠেকাতে রাজ্যের তরফে নেওয়া হবে ২০০ চিকিৎসক এবং প্রায় ৩০০ জন নার্স ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট। জানা গেছে এই মারণ রোগের হাত থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকার উদ্দেশ্যে বাংলায় আগত প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকদের লালা রস পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে।

প্রয়োজনে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের কারো শরীরে কোনরকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা গেলেই তাদেরকে সরাসরি কোভিড হাসপাতলে পাঠানো হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে হুগলি, দুই দিনাজপুর, পুরুলিয়া ইত্যাদি এলাকায় আগত মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তেলেঙ্গানা থেকে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন তাদেরই বাড়ির লোকেরা চাইছেন সরকারি কোভিড হাসপাতালে ১৪ দিন কোয়ারান্টিনে থাকার পরই বাড়ির লোক ঘরে ফিরুক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেক ক্ষেত্রে এটাও পরিলক্ষিত হয়েছে একটি ঘর থাকার কারণে পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে ফেরার পর বাড়ির লোকের সঙ্গে ঠাসাঠাসি করে একটি ঘরেই বসবাস করছেন যা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য খুবই সহজ হয়ে উঠছে। কার্যত এই সমস্ত শ্রমিকদের কোভিড হাসপাতালে রাখার কারণে প্রয়োজন পড়ছে অতিরিক্ত চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মী ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট-এর। আর তাই, এক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে সম্পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এদিন চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা অর্জুন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, “চুক্তির ভিত্তিতে যে ডাক্তাররা নিযুক্ত হবেন, তাঁদের আর্থিক দিকটিও যেন সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে। এর আগে গত কয়েক বছরে অন্তত দু’বার চুক্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।”

অন্যদিকে সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও উত্তর বঙ্গ মিলিয়ে মোট নটি জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার নির্দেশ পেয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। কার্যত পঞ্চায়েত এবং শিক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষেত্রবিশেষে স্কুল গুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য‌ কর্তাদের তরফে। এমনকি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে খাদ্য সরবরাহের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিবের জানানো তথ্য অনুযায়ী সমগ্র বিষয়টি নবান্নের অর্থ দপ্তরে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়ে গেছে নবান্নে তরফে অনুমতি মিললেই সমগ্র প্রক্রিয়াটি চালু হয়ে যাবে। তবে রাজ্যের তরফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করা হলেও স্বাস্থ্যসচিব এ বিষয়ে জানিয়েছেন নভেল করোনাকে রুখতে এই মুহূর্তে চুক্তির ভিত্তিতেই রাজ্যে চিকিৎসক, নার্স এবং মাইক্রোবায়োলজিস্টদের নিয়োগ করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!