মহুয়ার উদাহরণ টেনে প্রচার বিজেপির, মুখ বেঁকাচ্ছে ঘাসফুল শিবির! জোর শোরগোল! কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 4, 2020 আইন সকলের জন্য সমান। আর এই বক্তব্যকে তুলে ধরে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে উদ্যোগী হল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিছুদিন আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়া নিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। যেখানে জগন্নাথবাবু প্রশ্ন তোলেন যে, তার সাথে সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় পৌরসভার তৃণমূলের প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহাও। সেদিক থেকে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলেও, কেন বিমানবাবুকে ছাড় দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই বিজেপি সাংসদ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য এই প্রশ্নের কোনো যথোপযুক্ত উত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিদর্শনে যাওয়া নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি জানালো ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায়, তিনি পলাশীপাড়া, পলসন্ডা 1, সাহেবনগর এলাকায় রাস্তা পরিদর্শন করছেন এবং পলাশীপাড়া সোয়াব পরীক্ষার নমুনা কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন। শুনছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধার কথা। আর মহুয়া মৈত্রর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এই ছবিতে তুলে ধরেই এবার তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গেলে তাকে নোটিশ ধরাচ্ছে প্রশাসন, সেখানে কেন মহুয়া মৈত্র তা থেকে বাদ থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। আর এর ফলেই সেই মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে হেনস্তার অভিযোগে মঙ্গলবার চাকদহ থানার সামনে এবং বুধবার শান্তিপুর থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এদিন মহুয়াদেবীর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবি নিয়ে সরব হন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার অসুবিধা কিছু নেই। আমাকে রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হলে একই কারণে তৃণমূল সাংসদকে একই নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না? নাকি তৃণমূল হলে আলাদা নিয়ম হবে?” সত্যিই তো তাই! আইন তো সকলের জন্য সমান। এদিন এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্রকে ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ব্যাপারে নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি সাংসদের পোস্ট সম্পর্কে কিছু জানি না। তাই না জেনে মন্তব্য করব না।” কিন্তু এ ব্যাপারে কি বলছে স্বাস্থ্য দপ্তর? এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়ার ডেপুটি সিএমওএইচ 2 অসিত দেওয়ান বলেন, “যা বলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন।” এদিকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপারেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলেও, তিনি ফোনই ধরেননি। সব মিলিয়ে এখন মহুয়া মৈত্রর পোস্ট করা ছবি ঘিরে বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র চলে আসায় তৃণমূল কতটা বিপাকে পড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -