সৈনিকদের একের পর এক দল ছাড়া নিয়ে মমতাকে কবিতার মাধ্যমে কটাক্ষ অধীরের, জেনে নিন কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য May 29, 2019 কথায় আছে শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। গত 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিলে রাজ্যে দল ভাঙানোর পালা শুরু হয়ে যায়। বাম এবং কংগ্রেসের দখলে থাকা একাধিক পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের দখল নিতে থাকে তৃণমূল। আর তৃনমূলের এই দল ভাঙ্গানো নীতিকে স্বৈরতান্ত্রিক নীতি বলে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং বাম নেতাদের। কিন্তু রাজনীতিতে সময়ের পরিবর্তন হয়, গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন হয়। আর তাইতো এক সময়ে যে তৃণমূল বিরোধীদের দখলে থাকা সমস্ত পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও বিধায়কদের নিজেদের দিকে টেনেছিল, এখন সেই তৃণমূলের ঘরই ভাঙতে শুরু করেছে। বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরই তৃণমূলের বিধায়ক নেতা-মন্ত্রীরা বিজেপিতে যোগদান করবেন। আর তাদের এই দাবিকে সত্যি করেই গতকাল থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভার কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগদান করেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুই বিধায়ক ও এক বাম বিধায়ক পদ্ম শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন। শুধু তাই নয়, আগামীতে এই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক আরও বাড়বে বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেছে বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায় এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর যে তৃণমূল এক সময় কংগ্রেসের দল ভেঙে তাদের দখলে থাকা সিংহভাগ পুরসভা, পঞ্চায়েত ও বিধায়কদের নিজেদের দিকে টেনেছে, সেই তৃণমূলের ঘর থেকেই এখন হেভিওয়েট নেতাদের বিজেপি তাদের দিকে নিয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়লেন না প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বহরমপুরের হেভিওয়েট কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লেখেন, “ভাঙছে তৃণমূল, দল ছেড়ে পালাচ্ছে দিদির বাহিনীর নক্ষত্রকূল! “দিদির” দল ভাঙাচ্ছে মোদির দল! “দিদি” ভাবছে কাদের কে মানুষ করলাম যারা দিদির অসময়ে পালাচ্ছে। একদিন আমারও মনে হয়েছিল – history has a nasty habit of repeating itself বলবো, নাকি বলবো – poetic justice! সেটাই ভাবছি।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের এই ঘরভাঙায় কিছুটা হলেও যে খুশি কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা এক সময় কংগ্রেসের ঘর ভাঙ্গার পেছনে মূল দায়ী ছিল এই তৃণমূলই। ফলে সময়ের পরিবর্তনে লোকসভা নির্বাচনের পর সেই তৃণমূল ছেড়ে একাধিক কাউন্সিলার এবং বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূলের এই দুর্দিনে এবার তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পিছপা হলেন না কংগ্রেসের এই রবিনহুড নেতা। অধীর অনুগামীদের দাবি, সময় সকলের ক্ষেত্রেই আসে। কারও ক্ষেত্রে আগে, আবার কারও ক্ষেত্রে পরে। আর তাইতো এক সময় কংগ্রেসের ঘর ভাঙ্গা তৃণমূলের দুর্দিন আসায় কিছুটা হলেও খুশি হাত শিবির বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। আপনার মতামত জানান -