এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের নীচুতলাতেই দুর্নীতি! শুদ্ধিকরনে নামলেন স্বয়ং অভিষেক, নিতে চলেছেন বড়সড় পদক্ষেপ!

দলের নীচুতলাতেই দুর্নীতি! শুদ্ধিকরনে নামলেন স্বয়ং অভিষেক, নিতে চলেছেন বড়সড় পদক্ষেপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা পরিস্থিতির জেরে উদ্ভূত বিবিধ সমস্যা, অন্যদিকে আমফান পরবর্তী সময়ে ত্রাণ নিয়ে গণ্ডগোলের জের – দুইয়ের চাপে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে শাসক শিবিরের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রথম থেকেই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছে শাসক দলের স্বজনপোষণের। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক বিরোধীদের বাদ দিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষও এবার ত্রাণ বিলি নিয়ে রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জায়গায় জায়গায়।

দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ চূড়ান্ত। আর এবার পরিস্থিতি সামলাতে শাসক শিবির কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল সভা হয় তৃণমূলের। যেখানে অংশগ্রহণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সমস্ত তৃণমূল জেলা সভাপতিরা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া নেতাদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা।

জানা গেছে, তৃণমূল শাসক শিবির থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে দুর্নীতিতে যদি নিচুতলার নেতারা জড়িয়ে পড়েন বা কর্মীরা জড়িয়ে পড়ে্‌ তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা সভাপতি শোকজ করতে পারবেন। তার সাথে বলা হয়েছে, যাঁর বিরুদ্ধে শোকজ করা হবে তাকে 48 ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে হবে। যদি জেলা সভাপতি অভিযুক্ত নেতার উত্তরে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হবে দল থেকে। না হলে তাঁকে পরবর্তীতে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে উত্তর দিতে হবে বলে জানা গেছে।

উপরন্তু এই বৈঠকে স্থির হয়েছে ত্রাণ কিংবা সরকারি যে কোন ব্যাপারে বিডিও বা মহকুমা শাসক কিংবা জেলাশাসকের কাজে শাসক দলের কোনো নেতাই হস্তক্ষেপ করবেনা। প্রসঙ্গত এর আগে লকডাউনের সময় রেশনিং দুর্নীতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলি। তার জেরে সেই সময় খাদ্য সচিব মনোজ আগারওয়ালকে বদলি করে দেওয়া হয়। এবার আমফান পরবর্তী সময়ে দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের নাম উঠে আসছে দুর্নীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই হুগলি এবং দক্ষিণ 24 পরগণার দুজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল শিবির। কিন্তু পরিস্থিতি যে কোনমতেই আয়ত্তে আসেনি, তার প্রমাণ পরবর্তীতে আরও বেশকিছু ঘটনা প্রমাণ করেছে। তাই এবার তৃণমূল শিবির থেকে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠছে শাসকদলের প্রতি তাতে এবার কড়া মনোভাব না দেখালে পরবর্তী নির্বাচনে শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরতে পারে।

বিরূপ মনোভাব পড়তে পারে গ্রামাঞ্চলে। অন্যদিকে বরাবর দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চল হচ্ছে তৃণমূল শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। তবে বিরোধীদের মতে, এর আগেও বহুবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে শাসক দল থেকে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিট ফল হয়েছে জিরো। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরী নেই। এই অবস্থায় যদি বারংবার শাসকদল সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে, তাহলে তা দলের পক্ষে মোটেই খুব সুখকর নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সে দিক থেকে শাসক শিবির যদি এই মুহূর্তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না গ্রহণ করে, তাহলে জনমানসে এসবের চূড়ান্ত বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নিচু তলার কর্মীরা বর্তমানে যেভাবে দুর্নীতি চালাচ্ছেন শাসক শিবিরের মধ্যে থেকে, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের উচ্চ মহল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে অভিষেক ব্যানার্জির হাত ধরে দল কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে নিচু তলার দুর্নীতি কতটা বন্ধ হয়, সেদিকে এবার লক্ষ্য রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!