দলের ওপর ভরসা নেই মমতার? ত্রাণ-বন্টনে পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক বছর আগে ভয়াবহ দুর্যোগ আমফানের সময় মানুষকে ত্রাণ বরাদ্দ করা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। স্থানীয় স্তরে রাজ্যের শাসকদলের নানা নেতারা নিজেদের নিকটাত্মীয়দের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। যে অভিযোগ ভোটবাক্সে অনেকটাই সমস্যার মুখে ফেলে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে। তবে এবার একদিকে করোনা, অন্যদিকে এক বছর আগেকার মত ভয়াবহ দুর্যোগ “ইয়াস” আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথেই দলের সকলকে করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনোভাবেই দুর্যোগে যে কোনোরকম দুর্নীতি করা যাবে না, তার ব্যাপারে বার্তা দিতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। তবে অতীতের মত আর ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে দলের কাউকে যুক্ত করতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, এবার সবটাই প্রশাসনিক স্তরে গ্রহণ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ থেকে শুরু করে মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ দলের পক্ষ থেকে এক বছর আগে আমপানের তান্ডবের সময় মানুষকে সহযোগিতা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে দলমত না দেখে সকলকে সহযোগিতা করে কার্যত নিজের দলের বিরুদ্ধে যাতে আর কোনো অভিযোগ না ওঠে, সেই কৌশল প্রয়োগ করতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এবারে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে। তবে বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব ভালো করেই অনুধাবন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় দুর্নীতি কাঁটা প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যার কারণে বিজেপির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন সাধারন মানুষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মানুষের দুর্নীতি নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না থাকে, তার জন্যই ত্রাণ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দলকে সংযুক্ত করতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে দলনেত্রী হিসেবে নয়, বরঞ্চ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে প্রশাসনের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। যার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের মধ্যে দিয়ে কাজ করানোর বার্তা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। কারো কথায় ত্রান বন্টন হবে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় ত্রাণের কাজ হলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা উপকৃত হবেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের ওপর ঠিকমতো ভরসা করতে পারছেন না। যার কারণে দায়িত্ব সঠিক ভাবে দলীয় স্তরে না দিয়ে প্রশাসনের উপর ছেড়ে দিলেন তিনি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দলনেত্রী হিসেবে নিজের দলের প্রতি ভরসা অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রশাসনের ওপর যে বেশি ভরষা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, তা একপ্রকার পরিষ্কার। তবে এত চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত “ইয়াস” দুর্যোগের পরবর্তী সময় কালে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে কতটা সফল হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -