দলে নব্য হেভিওয়েট নেতাদের দাপাদাপিতে টিকিটের আশা নেই বুঝেই আদি বিজেপি এবার তৃণমূলের পথে? তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল থেকে নেতা এনে তৃণমূলকে কুপোকাত করার চিন্তাভাবনা বিজেপির পক্ষ থেকে করা হলেও, এবার বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে নয় সমস্যা। যেখানে শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপির অনেক আদি এবং পুরনো নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি সকলকে নিয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করলেও, পুরনো নেতারা যদি এইভাবে তৃণমূলে আসতে শুরু করেন, তাহলে তাদের সংগঠন যে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত 2017 সালে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন প্রদীপ বাস্কে। রবিবার তিনি জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করাতে এখন ভারতীয় জনতা পার্টি যে অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলেছেন, কিছুদিন আগেই কালনায় 2016 সালের বিজেপি প্রার্থী নিউটন মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। মূলত কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিজেপিতে যোগদান করার পরেই নিউটনবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে চলে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই নিউটনবাবুর মত পুরনো দিনের বিজেপি নেতা সদ্য তৃণমূল নেতার দলে প্রবেশের জন্যই ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন, তা পরিষ্কার সকলের কাছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সমস্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন বিজেপি দলের পুরোনো নেতাকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না? একসময় যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন দলের নেতাকর্মীরা, এখন তাদের দলে নেওয়ার কারণে যে সেই পুরনো নেতাকর্মীরা বিজেপি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন, তা বলাই যায়। অর্থাৎ পুরনো নেতাকর্মীদের মতামতকে যদি বিজেপি এখন গুরুত্ব না দিয়ে তাদের দরদী মনোভাব দেখাতে না পারে, তাহলে তা যে ঘাসফুল শিবিরের কাছে বাড়তি অক্সিজেন হয়ে দাঁড়াবে এবং বিজেপির কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা একমত পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, কালনার পর হবিবপুরের ঘটনায় বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা যে দলে আর গুরুত্ব পাচ্ছেন না এবং তারা যে ক্ষোভেই দলত্যাগ করছেন, তা পরিষ্কার হয়ে গেল। একসময় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দল থেকে নেতাকর্মীদের নিজেদের দিকে আনতে শুরু করেছিল। যার ফলে দলের পুরোনো নেতাকর্মীরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর ফলস্বরুপ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা কর্মীরা এখন বিরোধী শিবির ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখাতে শুরু করেছেন।যার ফলে বিজেপি অনেকটাই উজ্জীবিত। তবে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে গেলে নতুন-পুরনো সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। কিন্তু পুরনো নেতারা যেভাবে তৃণমূল নেতাদের কারণে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে এখন দলত্যাগ আটকানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে হবিবপুরে গত 2016 সালের বিজেপি প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, “ওই ব্যক্তির দলত্যাগে বিজেপির সংগঠনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” কিন্তু যে বিজেপি কথায় কথায় নতুন-পুরনো সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলছে এবং রাজ্যে পরিবর্তন করার স্বপ্ন দেখছে, সেই বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা যদি এইভাবে দলত্যাগ করতে শুরু করেন তাহলে জনমানসে এবং বিজেপি দলের অন্দরে যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -