এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের অস্ত্রেই তৃণমূল বধ! মুকুল রায়ের নতুন কৌশলেই পুরভোটে বাজিমাতের ভাবনায় বিজেপি

তৃণমূলের অস্ত্রেই তৃণমূল বধ! মুকুল রায়ের নতুন কৌশলেই পুরভোটে বাজিমাতের ভাবনায় বিজেপি


একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন তিনি। প্রায় ছোট, বড়, মেজো সব কাজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিতেন, তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিক মুকুল রায়কে। আর অচিরেই সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দিতেন তৃণমূলের এই চাণক্য। তবে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল, তিনি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার প্রধান লক্ষ্য, রাজ্যের ক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে সরানো।

ইতিমধ্যেই তার স্ট্র্যাটেজিতে লোকসভায় কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে পৌরসভা নির্বাচনের বিজেপিকে যে ব্যাপক সাফল্য পেতে হবে এবং তারপরেই যে পরিবর্তনের কাছাকাছি যেতে পারবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা জানেন সকলেই।

আর তাইতো এবারে এক্ষেত্রে বিগত সরকারের আমলে তৃণমূল পৌরসভা নির্বাচনে যেভাবে সাফল্য পেয়েছিল, ঠিক সেভাবেই বিজেপিকে সাফল্য পাওয়ানোর পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির চানক্য মুকুল রায়কে। বস্তুত, গত 2005 সালে বাম সরকারের আমলে কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে রাজ্যস্তরের হেভিওয়েট নেতারা প্রার্থী হয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বরা পৌরসভা নির্বাচনে ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অনেকে হেরে গেলেও, বাম সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে তৃণমূলের ভিত অনেকটাই শক্ত হয়েছিল। যার পরবর্তীতে সেই কলকাতা পৌরসভা দখল করতে অসুবিধে হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। আর এবার তৃণমূলের আমলে সেই তৃণমূলকে তাদের কৌশল দিয়েই হারাতে উদগ্রীব হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

এক্ষেত্রে বিজেপির বর্তমান রাজ্যস্তরের নেতাদের পৌরসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডে রাজ্য স্তরের নেতারা প্রার্থী হলে দারুণ লড়াই হবে বলেই মনে হয়। দলে জানিয়েছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্ব নেবেন।” কিন্তু রাজ্যস্তরের নেতারা আদৌ কি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যস্তরের কয়েকজনকে কলকাতা পৌরসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ জানাব। হিম্মত থাকলে তারা লড়বেন।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজনীতিতে চুলপাকা মুকুল রায় বেশ ভালই জানেন, সব নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জেতা যায় না। কিন্তু নির্বাচনে না দাঁড়ালে পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তৈরি হবে না।

তাইতো বিজেপির রাজ্য নেতাদের এবার লড়াইয়ের ময়দানে নামানোর জন্য পৌরসভা নির্বাচনকেই বেছে নিলেন তিনি। আর সেই মতই তৃণমূলকে সাফল্য পাইয়ে এবার তৃণমূলের ধাঁচেই বিজেপিকে সাফল্য পাওয়ানোর স্ট্যাটেজি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পেশ করলেন মুকুল রায়। কিন্তু এখন শেষ পর্যন্ত সাফল্যের পথ বাতলে দেওয়া মুকুলবাবুর কথায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব কতটা রাজি হয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!