করোনা আবহেও নারদ নিয়ে নতুন করে ঘুম উড়তে চলেছে শাসকদলের? ইডির নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা! কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। কিন্তু রাজনীতিতে বাঘের ভয় আর সন্ধ্যা হওয়ার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা রাজনীতিবিদরা সব সময় তাদের সূক্ষ্ম রাজনৈতিক চালে বিপদ কাটিয়ে ওঠেন। এটাই তাদের ইউএসপি। নারদা থেকে সারদা, বিভিন্ন ঘটনায় বিভিন্ন সময় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। তবে সঠিকভাবে তদন্ত না হওয়ার অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর কয়েক মাস বাকি, ঠিক তখনই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের নিজেদের সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য ইমেইল পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র চাঞ্চল্য এবং গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ইমেইল পাঠানো হল? তবে নারদ কান্ডে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রী সহ পুলিশকর্তার কাছে ই-মেইলে পাঠানো হলেও, সেই ব্যাপারে কোনো নোটিশ যায়নি তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং অপরুপা পোদ্দারদের কাছে।। যাকে কেন্দ্র করে এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা এই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অবশ্য জানিয়েছে যে, কিছুদিন আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তখনই ইডির কাছে আয় ব্যয়ের সমস্ত হিসাব দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে যখন এই সমস্ত তথ্য চাওয়া হচ্ছে, তখন কেন তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট নেতা নেত্রী এবং বিজেপির দুই নেতাকে বাদ রেখে অন্যান্যদের কাছ থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া হল? এদিন এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, “যা যা নথিপত্র তাদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে, ই-মেইলে তারা তা পাঠাতে পারেন। সে কথা তাদের জানানো হয়েছে। সেই সব নথিপত্র দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তবে ব্যাপারটিকে অনেকে সহজভাবে নিলে অনেকেই এই ব্যাপারে অন্য সমীকরণ খুঁজতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার কারণেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগের সময়কেই এই ব্যাপারে বেছে নেওয়া হল। এতদিন তো প্রচুর সময় পড়েছিল। সেক্ষেত্রে কেন তখন এই তদন্তের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? স্বাভাবিকভাবেই এখন এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়াতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিধানসভার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করতে ব্যস্ত। এখন তদন্তে নেমে ইডি আরও কি কি পদক্ষেপ নেয়, আর তাতে কার কার ঘুম ওড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -