আদালতের হাত ধরে ‘বাঁচতে’ চেয়েও রেহাই নেই! তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেই পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের টীম! কলকাতা রাজ্য September 5, 2019 রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বহু হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর নাম বহুবার ভেসে উঠেছে সারদা অথবা নারদ মামলায়। আর পাল্লা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতারা হুঙ্কার ছেড়েছেন – এবার নাকি তাঁদের ঠাঁই হবে জেলে। তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ নিয়ে এলেও, ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের দাবিকে সত্যি করে মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাপস পালদের খেটে আসতে হয়েছে জেল। মিঠুন চক্রবর্তী বা শতাব্দী রায়ের মতো তৃণমূলের তারকা সাংসদরা ফেরত দিয়েছেন টাকা। ফলে, সবমিলিয়ে আরও জোরালো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের দাবি। এই অবস্থায় বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে নারদ মামলায় জাল গতবার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, বহরের দিক থেকে সারদা মামলার থেকে অনেক ছোট নারদ মামলা। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই মামলা সম্পন্ন করে সারদা মামলায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে চায় সিবিআই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই নারদ মামলায়, আদালতের নির্দেশে তৃণমূলের দাপুটে নেতা-মন্ত্রীদের ভয়েস স্যাম্পেল জোগাড় করা শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই, বাড়িতে গিয়ে ভয়েস স্যাম্পেল জোগাড় করা হয়েছে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের। অন্যদিকে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে ভয়েস স্যাম্পেল দিয়ে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা। এই তালিকায় নাম থাকলেও এখনও ভয়েস স্যাম্পেল দেননি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে ভয়েস স্যাম্পেলের জন্য ডেকে পাঠানো হলে তিনি আদালতের স্মরণাপন্ন হন। তাঁর আইনজীবী জানান, গত ডিসেম্বর মাসে ইকবাল আহমেদের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়, তাই তাঁকে যেন বেশ কিছুদিন সময় দেওয়া হয় সিবিআই দপ্তরে আসার জন্য। আর তাই, সূত্রের খবর আজ সিবিআইয়ের একটি টীম সরাসরি পৌঁছে যায় ইকবাল আহমেদের বাসভবনে। যদিও সেখানে গিয়েও তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল জোগাড় করা যায় নি বলেই জানা গেছে। তবে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপে একটি যিনি স্পষ্ট – আর কোনো ‘বাহানার’ জন্য তদন্তের জাল গোটাতে দেরি করতে চান না তদন্তকারী অফিসাররা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। প্রভাবশালীদের উপর এর ফলে চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -