স্যানিটাইজারের নামে কোটি টাকা প্রশাসনের হাতে কেন? তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে দলীয় সংগঠনই কলকাতা রাজ্য July 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসকে দূরীভূত করতে সামাজিক দূরত্ব পালন যেমন বাধ্যতামূলক, ঠিক তেমনই বাইরে বেরোলেই এখন মানুষের অন্যতম সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে স্যানিটাইজার। কোনো কিছুতে হাত দিলেই সাথে সাথে পকেট থেকে স্যানিটাইজারের বোতল বের করে নিয়ে হাতে ঘষে নিচ্ছেন প্রত্যেকে। অর্থাৎ ভাইরাস যাতে সেই হাতের মধ্যে দিয়ে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই পদ্ধতি। কিন্তু এবার সেই স্যানিটাইজারের বোতল নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল তাদেরই শিক্ষক সংগঠন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 15 জুন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, মিড ডে মিলের আওতায় থাকা স্কুল পড়ুয়াদের চাল, ডাল এবং আলুর সঙ্গে 50 মিলি গ্রামের স্যানিটাইজার বোতল দিতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই গত মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়া স্থগিত বলে জানানো হয়। যেখানে আগামী 10 জুলাই থেকে 15 জুলাই এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু কেন রাজ্য সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও, তা পিছিয়ে দেওয়া হল! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। জানা যায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বেসরকারি সংস্থাকে স্যানিটাইজার সরবরাহের বরাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সংস্থা সময়মত তা সরবরাহ করতে পারেনি। তাই বন্টনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, জেলা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও, বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে স্যানিটাইজার ছাড়াই চাল, ডাল এবং আলু বিতরণ করা হয়। তবে এই ব্যাপারে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সমিতি। এদিন এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, “অন্যান্য জেলায় স্যানিটাইজার কেনার টাকা শিক্ষকদের হাতে দেওয়া হয়েছে। এই জেলাতে সেই নিয়ম মানা হল না। জেলা প্রশাসন কোন সংস্থাকে টেন্ডার দিল, তা জানা নেই। শিক্ষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জেলাতেও শিক্ষকদের হাতে টাকা তুলে দিলে বুধবার সব বন্টন হয়ে যেত। শিক্ষকরা ওষুধের দোকান থেকে কিনে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিতেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত হোক।” আর তৃনমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সরকার যখন তৃণমূলের, তখন প্রশাসনের নির্দিষ্ট কোনো রং না থাকলেও তা যে শাসকদলের ছত্রছায়াতেই চলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেদিক থেকে সরকারে যখন তৃণমূল রয়েছে, যখন প্রশাসন তাদের, ঠিক তখনই যেভাবে গোটা ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন, তাতে শাসকদলের বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, জেলা প্রশাসন বনাম তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের এই দ্বন্দ্ব কি আকার নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -