এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবারও লকডাউন! আছড়ে পড়ল কি গোষ্ঠী সংক্রমণ? নিয়ম না মানাতেই কি এত বড় বিপদ? বাড়ছে জল্পনা

আবারও লকডাউন! আছড়ে পড়ল কি গোষ্ঠী সংক্রমণ? নিয়ম না মানাতেই কি এত বড় বিপদ? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লকডাউন শিথিল করে এখন আনলক দ্বিতীয় দফা চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন কিছুটা হালকা করার পর বিভিন্ন মহলে আশা ছড়িয়েছিল যে, হয়ত ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাস বিলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে। আর তাই সরকার লকডাউন হালকা করে দিল। কিন্তু আনলক করার সাথে সাথেই যেভাবে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে মানুষ বাইরে বেরোতে শুরু করেছে, তাতে হু হু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই গোটা ভারত যখন আনলকের দ্বিতীয় পর্বে, ঠিক তখনই উল্টো পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ।

সূত্রের খবর, কলকাতা, উত্তর 24 পরগনা সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ফের লকডাউন কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে এখন করোনা ভাইরাসে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ কলকাতায় শুরু হয়ে গেল! এই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগ মানুষ বলেছেন, ফের এই লকডাউন করার অর্থ, গোষ্ঠী সংক্রমণ যে শুরু হয়েছে, তা স্বীকার করে নেওয়া। আর তাই ভবিষ্যতের ভয়াবহ দিকের কথা মাথায় রেখেই এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ফের লকডাউন কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল সংঘমিত্রা ঘোষ বলেন, “এই মুহূর্তে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। এমন বহু আক্রান্তকে থেকে পাওয়া যাচ্ছে, যাদের সংক্রমনের উৎস বোঝা যাচ্ছে না। সংক্রমনের উৎস্য যখনই বোঝা যাবে না, তখনই ধরে নিতে হবে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এ ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক তথা ম্যাথমেটিক্যাল বায়োলজি বিশেষজ্ঞ প্রীতিকুমার রায় বলেন, “সম্পূর্ণ লকডাউন করা ছাড়া এই মুহুর্তে আর অন্য কোনো পথ নেই। কারণ কে সংক্রমিত, আর কে সংক্রমিত নয়, সেটাই এখন বোঝা যাচ্ছে না। সামান্যতম উপসর্গ নেই, এমন কাউকে পরীক্ষা করার পরে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি করোনা পজেটিভ। যারা খুব সচেতন, তারাও এই মুহূর্তে সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছেন। কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন, তা ধরা যাচ্ছে না। কিন্তু এসবের জন্য লকডাউন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কুণাল কান্তি মজুমদার বলেন, “হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে জনসাধারণের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াত বড় কারণ। আরও একটি কারণ নিয়ম না মানা। এখনও বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক নেই। ফলে সংক্রমণ থামবে কিভাবে!”

অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের এই কথাতেই স্পষ্ট যে, এতদিন করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যে ঘটনার জন্য সবথেকে বেশি ভয় পাওয়া হচ্ছিল, সেই গোষ্ঠী সংক্রমণ এবার শুরু হয়ে গেল। আর একবার যদি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়, তাহলে রাজ্যের কমবেশি প্রত্যেকেই যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। আর তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন করা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বলেই দাবি করছেন তারা। কিন্তু যেভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এই লকডাউন করে আদৌ কাজের কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে একটা বড় সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!