গয়েশপুরে বিজেপি কর্মী খুনে কোন সত্য ‘ফাঁস’ করে দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়? বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে বিজেপি কর্মী খুন হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বলতে গেলে তৃণমূলই বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং তাদেরকে মারতে দ্বিধা করছে না এমন কথা বহুবার অভিযোগ করেছিলেন বহু বিজেপি সমর্থক। তবে সম্প্রতি গয়েশপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে দেখা যাচ্ছে নানা অশান্তি। আর এরই মধ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য ঘিরে সেই উত্তেজনা আরো বাড়ারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, একদিকে যেখানে ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তারই মধ্যে রবিবার সকালে এই ঘটনা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে যে আরো বেশী উত্তপ্ত করবে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে একাধিক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল প্রশাসনকেই দায়ী করে এসেছে বিরোধীরা। সেখানে বাগনানে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা থেকেই শুরু করেই হোক বা মল্লারপুরে পুলিশ লকআপে এক নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা থেকেই হোক, রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বারবার। এমন পরিস্থিতিতে গয়েশপুরে যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় ঘটনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বস্তুত তিনি বিজেপি কর্মী এবং সেজন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে এমনই দাবি তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। রবিবার বিকালে কলকাতায় এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই একই কথা বলতে শোনা গেছে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁর কথায়, এখানে পুলিশ প্রশাসনের অপরাধীকরণ আর রাজনীতিকরণ সমান হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের খুন করে তাই আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যে গণতন্ত্র সুরক্ষিত নয়, সেটা আবারো প্রমাণ হয়ে গেছে। কারণ এখানে একের পর এক খুনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে বিজেপির ১২০ জন কর্মী খুন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন, শাসক দলেরই কর্মী হিসেবে এখানে কাজ করছে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি শাসন না হলে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে পারবেন বলে মনে করছেন না বলেই তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে রবিবার বিকেলে এই ঘটনার পর রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর উপর হামলা চালান বলেও অভিযোগ ওঠে। আর এরই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী দাবি করেন, রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি করার জন্যই বিজেপি কর্মীদের এভাবেই খুন করছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ৫ই নভেম্বর বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে অমিত শাহের। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি এবং তৃণমূল এহেন অবস্থানে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন কূটনৈতিকরা। আপনার মতামত জানান -