এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শহীদ দিবসে জনসংযোগ করতে গিয়ে চরম বিপাকে তৃণমূল নেতারা! দূর্নীতির ক্ষোভ উগড়ে পড়ছে আমজনতার!

শহীদ দিবসে জনসংযোগ করতে গিয়ে চরম বিপাকে তৃণমূল নেতারা! দূর্নীতির ক্ষোভ উগড়ে পড়ছে আমজনতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও স্বস্তি পাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় নয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন সময় নানা নেতার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তেমন ভাবে কোনোকালেই ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি শাসক দলকে। যার কারণে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। তবে এখন ভয়াবহ দুর্যোগে অর্থ প্রদান নিয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবস্থা নিতে শুরু করলেও, মানুষের মনে অতীতের ক্ষত থেকেই গেছে।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য ভাবছে, যেহেতু এখন তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাই মানুষের কাছে হয়ত তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। তবে জনতা জনার্দন অত সহজে কিছু ভোলে না। তাই অতীতের কথাগুলোকে স্মরণ করে এবার তৃণমূল নেতাদের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ। বস্তুত এবার করোনা ভাইরাসের কারনে একুশে জুলাই কেন্দ্রীয়ভাবে হচ্ছে না বরঞ্চ ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমেই তা অনুষ্ঠিত হবে আর সেই একুশে জুলাই কে সামনে রেখে করোনাভাইরাস এর মধ্যেও ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে কথা মাথায় নিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যারা অঙ্গ হিসেবে গড়বেতার হলদিনালা গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের উন্নয়ন মূলক কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন ব্লক তৃণমূলের নেতারা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা গড়বেতা 1 পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ। মানুষের কাছে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নয় বছরে কি কি উন্নয়ন করেছে, তার বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন এই তৃণমূল নেতা।

কিন্তু মানুষ সে সমস্ত কিছু শোনেনি। উল্টে এই তৃণমূল নেতাকে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে শুনিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা। যার ফলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয় শাসক দলের নেতাদের। গ্রামবাসীদের অনেকে বলেন, ভাঙ্গা ঘরের ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি। অনেকে আবার বলেন, বার বার বলেও আবাস যোজনার টাকা আসেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেগ মানুষের একরাশ অভিযোগ শুনে উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের পক্ষ থেকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। কিন্তু মানুষের এত অভিযোগ কেন? যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন যে, তিনি সবার বাড়িতে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন, সেখানে গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ তারা কি করে সামাল দেবে? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সেবাব্রত ঘোষ বলেন, “গ্রামের মানুষ অনেকে নিজেদের ক্ষোভের কথা বললেও, তৃণমূলের প্রতি তাদের সমর্থন যে অটুট, তা তারা জানিয়ে দিয়েছেন।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলার এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “মানুষের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে। একইভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা নয়ছয় হয়েছে। 100 দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির কথা বলছেন অনেকে।” একইভাবে এই বিষয়ে শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “মানুষের কাছ থেকে অনেক কথাই শুনছি। বোঝাচ্ছি।” কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে দল যতই ব্যবস্থা নিক, মানুষের মধ্যে তৃণমূল সম্পর্কে যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তা কি করে ফেরানো সম্ভব হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্ত্তী বলেন, “মানুষ দলের কর্মীদের দুর্নীতির কথা তুলছেন। আমরা তাদের বলছি, এসবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।” আর এখানেই প্রশ্ন, ইতিমধ্যেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও তে পরিস্থিতি কোনোমতেই তৃণমূলের পক্ষে আসছে না! যদি আসত, তাহলে তো এইভাবে তৃণমূল নেতারা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনতেন না!

ফলে তৃণমূল এখন যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুক, পরিস্থিতি যে ক্রমশই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের দুর্নীতির জন্য যে ক্রমশ জনমানস থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে মানুষের এই ক্ষোভ প্রশমিত করে শাসক দল, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!