করিমপুর দখল করতে এখন থেকেই আসরে তৃণমূলের এই দুই হেভিওয়েট বনাম বিজেপির এই হেভিওয়েট শেষ হাসি কার? কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য October 28, 2019 আগামী 25 নভেম্বর রাজ্যের করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। লোকসভা নির্বাচনের পর এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই তিন বিধানসভার উপনির্বাচন শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে পরিণত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। বস্তুত, সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে পরিচিত নদীয়ার অন্তর্গত করিমপুরের বিধানসভা নির্বাচন এবার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গত 2016 সালে এখানে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। প্রায় 39 বছর পর বামেদের হাত থেকে মহুয়াদেবীকে প্রার্থী করে সেই আসনটি জিতে নিতে সক্ষম হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেই মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করায় এই কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হচ্ছে। আর তাই একদিকে তৃণমূল নিজেদের দখলে থাকা এই কেন্দ্র আবার দখলে রাখতে যেমন তৎপর হয়ে উঠেছে, ঠিক তেমনই বিজেপিও চেষ্টা করছে এবার এই কেন্দ্রে জয়লাভ করার। সব মিলিয়ে শাসক-বিরোধী লড়াইয়ে জমে উঠতে চলেছে করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন পর্ব। সূত্রের খবর, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা পেরোনোর পরই এই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল তাদের কাজ শুরু করে দেবে। ইতিমধ্যেই দলের সকল স্তরের কর্মীদের প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রে তৃণমূল বা বিজেপির প্রার্থী কে হবে, তা জানানো হয়নি। ফলে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চললেও বিন্দুমাত্র সময় যাতে নষ্ট করা না হয়, তার জন্য সতর্ক তৃণমূল-বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই করিমপুর বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়ে ছিল। তবে গত 2016 সালে মহুয়া মৈত্র যে মার্জিনে জিতেছিলেন, তার থেকে লোকসভা নির্বাচনে তাদের মার্জিন কিছুটা কমেছে। ফলে বিজেপি চেষ্টা করছে তৃণমূলের সেই মার্জিনকে কমিয়ে এনে এই কেন্দ্র এখন নিজেদের দখলে রাখার। কিন্তু বিজেপিকে যে তারা অত সহজে এই আসনটি উপহার দিয়ে দেবে না, তা এদিন নিজেদের কথাতেই প্রমাণ করে দিলেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব ব্যানার্জি এবং করিমপুর বিধানসভার ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা বর্তমান সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরেই জোরদার প্রচারে নামা হবে। তার জন্য দেওয়াল লিখন শুরু করতে বলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত।” অন্যদিকে এবারে আমরা ভালো মার্জিনে এখানে জিতব বলে জানিয়ে দেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে এই ব্যাপারে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন নদীয়া উত্তরের জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার। এদিন তিনি বলেন, “দুই-একদিনের মধ্যেই আমাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। আমরাও প্রচার শুরু করে দেব। নিশ্চিতভাবেই আমরা এখানে জয়লাভ করব। মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।” তবে ভোটের মরশুমে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চলবে এবং তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবে সকলে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শেষমেশ তৃণমূল এই আসনটি আবার ধরে রাখে, নাকি সেখানে পদ্মফুল ফোটাতে সক্ষম হয় বিজেপি, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -