এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুরদর্শনে পড়াশোনা চালু করতে গিয়েও পিছিয়ে আসতে হল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

দুরদর্শনে পড়াশোনা চালু করতে গিয়েও পিছিয়ে আসতে হল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

করোনা মহামারির জেরে অনেকদিন আগেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতেই তাদের অধ্যয়ন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয় না যাওয়ায় এবং বাড়িতে বসে থাকায় তাদের শিক্ষা গ্রহণ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন অনেকেই। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্য যখন লকডাউন, তখন সেই ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে একটি ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, “যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না, সেহেতু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দূরদর্শনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হবে।” আর শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণাতে অনেকেই আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘোষণার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার সেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এবার সেই ক্লাস স্থগিতের কথা জানিয়ে দিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন এমনটা করলে পার্থবাবু? কেন ঘোষণা করেও, সেই ঘোষণা থেকে পিছিয়ে আসতে হল তাকে? এদিন এর কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষকরা যে সময় ক্লাস নিতে চাইছেন, আর অভিবাবকরা যে সময় চাইছেন, তার মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য থাকছে না। ফলে 7 থেকে 13 এপ্রিল ক্লাস দূরদর্শনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত তা স্থগিত রাখা হল।” আর প্রথমে ঘোষণা করে পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় এখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন।

অনেকেই বলছেন, সরকারের উচিত মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে অবিলম্বে ক্লাসগুলো চালু করা। কেননা একেই ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে থাকায় তারা পড়াশোনা করতে চাইছে না এবং মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের ভবিষ্যতে পরীক্ষার ফল যদি খারাপ হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে! প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী যে ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে মধ্যস্থতা করে একটি সময় বের করা উচিত ছিল সরকারের।

কিন্তু তা না করে যেভাবে তা স্থগিত করে দেওয়া হল, তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে, করোনা আতঙ্কের মাঝেই, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। করোনা মহামারীর থাবা থেকে কবে বিশ্ব মুক্ত হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই – এই অবস্থায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন সব মহলই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!