শুভেন্দু-গড়ে জল্পনা বাড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের অফিস গুঁড়িয়ে দিল দলেরই লোকজন! শুরু তীব্র বিতর্ক! তৃণমূল বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য September 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যখন রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে, ঠিক সেইসময় একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। তবে বরাবর তৃণমূলের নামে উঠে আসত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে, কিন্তু এবার অন্য ছবি ধরা পড়ছে।দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যত দিন যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু আরো বড় আকার ধারণ করছে। এবার গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ধরা পরল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। সেখানে একই দলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। সম্প্রতি শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর কাঁকটিয়া বাজারে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের অফিস উদ্বোধনকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল চাপানউতোর। সূত্রের খবর, এই অফিসটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শ্রমিক সংগঠন এর বর্তমান সভাপতির দিকে।আর অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি। সম্প্রতি বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সভাপতি ইউসুফ আলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শ্রমিক সংগঠনের নতুন জেলা সভাপতি হন রঞ্জন দাস। সূত্রের খবর, অপসারিত জেলা সভাপতি ইউসুফ আলি এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়ন অফিস তৈরি করতে শুরু করেন নিজের অনুগামীদের নিয়ে। রবিবার সেরকমই একটি ইউনিয়ন অফিস উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল কাঁকটিয়া বাজারে। কিন্তু তার আগেই এই ইউনিয়ন অফিসটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে ইউসুফ নিজে জানিয়েছেন, উদ্বোধনের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের স্থানীয় নেতৃত্বের একটা অংশ সেখানে হামলা চালায় এবং ইউনিয়ন অফিসে গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরেই তিনি অভিযোগ তোলেন, এলাকায় তোলাবাজি চলছে বলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘটনায় ইউসুফ আলী ও তাঁর অনুগামীরা তমলুক থানায় রঞ্জন দাস ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।অন্যদিকে বিজেপির শহীদ মাতঙ্গিনী 2 মন্ডল সভাপতি সহদেব সামন্ত এদিন জানিয়েছেন, তাঁদের জেলায় ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন বলে কোন সংগঠন নেই।তবে ঠারেঠোরে তিনি ইউসুফ আলিকেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউসুফ আলিকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেই তিনি সরে দাঁড়ান। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক জোর কথাটি প্রতিদিন উপহাসে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একেই তো রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে ফেরার ঢল নেমেছে। তার ওপরে যেভাবে গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তাতে আগামী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির যে বিপাকে পড়তে চলেছে, সে কথা অনস্বীকার্য। আপনার মতামত জানান -