এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা জিইয়ে রেখে শুভেন্দু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দিলীপ, কি বললেন তিনি!

জল্পনা জিইয়ে রেখে শুভেন্দু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দিলীপ, কি বললেন তিনি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার তৃণমূলের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে যেখানে জল্পনা বিস্তর হয়েছিল, সেখানে এবার তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়ার পর সেই জল্পনা যে আরো বাড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য। যদিও এরই মধ্যে তৃণমূলের লোকসভার সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।’’ তবুও বিরোধী শিবির থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের কটাক্ষ বাণী শোনা গেছে।

বস্তুত, এতদিন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল ভাঙার জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করে এসেছেন, সেখানে এ দিন তার জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কাজ করছি, লড়াই করছি। আমাদের কাজে প্রভাবিত হয়ে মানুষ যদি বিজেপিতে আসেন, দোষ নেই। উনি বলছেন, আমার বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে। যিনি অন্যের বাড়ি ভেঙে নিজের বাড়ি গড়েছিলেন, তাঁর বাড়ি তো এখন এই ভাবে ভাঙবেই।’’

সেই সুরেই আবার সুর মিলিয়ে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও একই কথা বলতে শোনা গেছে। এই ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘‘আমরা বহু দিন ধরেই বলছি, অন্যের ঘর ভাঙার যে খেলা তৃণমূল শুরু করেছিল, তাতেই এক দিন তৃণমূলের ঘরও ভাঙবে।’’ সেইসঙ্গে শুভেন্দ অধিকারীকে নিয়ে আব্দুল মান্নান আশা রেখেছেন যে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই সফল হবে।

যদিও অল্প কথায় থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু আমাদের দলে আসবেন বলে শুনছিলাম। হয়তো সে দিকেই গতিপ্রকৃতি যাচ্ছে। তিনি আমাদের দলে এলে স্বাগত জানাব।” সেইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় জানান, ‘‘শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বলেছিলাম, ও দল ছেড়ে দিলে আমি আরও খুশি হব। আজ ওর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।”

তাঁর কথায়, শুভেন্দু অধিকারী গণ আন্দোলনের ফসল। তাই তিনি বিজেপিতে এলে দল শক্তিশালী হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও সেখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর মত মুকুল রায়ও তৃণমূলের জন্মলগ্নের সঙ্গী। তাই মুকুল রায় ভালো করেই জানেন, পুরনো সতীর্থ কি করতে পারেন। যদিও সেখানে এই কথার পর তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, দলের একাংশ যে অনেকদিন থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

যদিও শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা গৃহীত হবে কি না, তা নিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেখানে সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বিধানসভার স্পিকারের অধিকার আছে এটা ঠিক করার। কিন্তু কেউ পদত্যাগপত্র দিলে তা গ্রহণ করব না বলা যায় কি না, জানি না। আর শুভেন্দুবাবু তো বলেই দিয়েছেন, তৃণমূলের বিধায়ক উনি আর থাকছেন না!’’ সেইসঙ্গে মুকুল রায়ও নিজের মতামত জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর কথায়, “স্পিকার বিধানসভায় না থাকলে বিধানসভার সচিব বিধায়কের পদত্যাগপত্র নিতে পারেন। তিনি কারও চাপে ইস্তফা দিচ্ছেন কি না, তা সচিব তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।” তবে শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগপত্র ই-মেলও করেছেন বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে এদিনই বিধানসভায় যেতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে।

যদিও সেই বিষয়ে তিনি জানান, বিধায়ক থাকাকালীন যে টাকা পেতেন, তার কিছু এখনও পাওনা আছে। সেই সংক্রান্ত কাজেই তিনি বিধানসভায় গিয়েছিলেন। বস্তুত, এখান শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন, তৃণমূলের মধ্যে একাধিক নেতা-জনপ্রতিনিধির বেসুরো হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই জানা গেছে।

সেখানে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। আর এখানেই বিরোধীদের মতে, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যাঁরা ওই দলে আছেন, যাঁদের অবদানে দল ক্ষমতায় এসেছে, তাঁদের সেখানে দমবন্ধ হয়ে আসছে বলেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর সেখানেই দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘যে দলকে মন্ত্রীরা বিশ্বাস করতে পারেন না, সেই দলকে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবেন কী ভাবে?’’

এখানেই দিলীপ ঘোষ শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে, ‘‘করোনা ভাইরাস কবে যাবে, কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু তৃণমূল ভাইরাস মে মাসে চলে যাবে, নিশ্চিত।’’ অন্যদিকে, মুকুল রায়ও বলেন যে, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে ২৫, ৫০, এমনকি ১০০ জন বিধায়কও আসতে পারেন।” যদিও সেখানে শুভেন্দু অধিকারী কবে বিজেপি-তে যোগ দেবেন, তা দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায় কেউই জানাতে পারেননি বলেই জানা গেছে।

এখানেই বিশেষজ্ঞদের মতে, শনিবার মেদিনীপুরে জনসভা করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলেও কল্পনা করা হচ্ছে। যদিও সেখানে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, শনিবারের আগেই শুভেন্দু অধিকারী হয়ত দিল্লি গিয়ে দল বদল করে রাজ্যে ফিরে আসতে পারেন।

আর তাই শুভেন্দু অধিকারীকে অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভামঞ্চে দেখা যেতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা। যদিও এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তার জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘‘শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে কবে আসবেন, তিনিই ঠিক করবেন। আমরা নিতে প্রস্তুত আছি।’’ যদিও অন্যদিকে, শনিবার শাহের সভামঞ্চে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!