এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “ইগো না ছাড়লে একটা সিটেও দল জিততে পারবে না।” স্বীকার করলেন হেভিওয়েট বিধায়ক!

“ইগো না ছাড়লে একটা সিটেও দল জিততে পারবে না।” স্বীকার করলেন হেভিওয়েট বিধায়ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে বিদ্রোহ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন জেলায় একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে দলের নেতারা ইগো না ছাড়লে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সব আসনেই দলকে হারতে হবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। যা নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2011 সালে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক হন সত্যেনবাবু। পরবর্তীতে গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুরে প্রার্থী হলেও সেখানে জয়লাভ করতে পারেননি তিনি। যেখানে জয়লাভ করেছিলেন তৎকালীন বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী গৌতম দাস। কিন্তু এখন সেই গৌতমবাবু তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বলা বাহুল্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গেই সত্যেন রায়ের মনোমালিন্য নতুন কিছু নয়।

কিছুদিন আগে বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে গেলেও আবার তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে এসেছেন। আর তারপর থেকেই সেই বিপ্লববাবুকে নিয়ে আপত্তি শোনা গেছে সত্যেনবাবুর গলায়। যার ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাটা ক্রমশ মাথা চাড়া দিয়েছিলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। আর এবার নেতাদের ইগো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল গঙ্গারামপুরের তৃণমূল নেতা সত্যেন রায়কে।

সূত্রের খবর, এদিন সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “মনে রাখতে হবে, এটা একুশের নির্বাচন। কঠিন নির্বাচন। এখনও নেতারা ইগো না ছাড়লে ভোট হবে না। ইগো ছেড়ে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। না হলে জেলার ছয়টি আসনেই দল হারবে। যে যত বড় মাতব্বর হোক না কেন, একার পক্ষে ভোটে জেতা যাবে না।” এদিকে বর্তমানে সেই সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে বংশীহারী ব্লক সভাপতি করা হলেও, তাতে যে তিনি মোটেও খুশি নন, তাও বুঝিয়ে দেন এই তৃণমূল নেতা।

এদিন তিনি বলেন, “ভোটের আগে আমি কেন পদ নেব! পাঁচ বছর ধরে বলেছি। তখন তো পদ দেয়নি। আমার গুরুত্ব যদি না বোঝে, তাহলে আমি নিশ্চয়ই অন্যকিছু ভাবব।” পাশাপাশি এবার তাকে প্রার্থী না করা হলে তিনি যে দল ছাড়বেন, তাও নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রাক্তন এই তৃণমূল বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতেও এবার সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের মত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বক্তব্যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে একের পর এক বিদ্রোহী নেতাদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে শাসকদল, এখন সেটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে সত্যেন্দ্রনাথ রায় এই ধরণের বিদ্রোহ পোষণ করলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “উনি যা বলেছেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। তবে আমাদের মধ্যে কোনো ইগো নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কাজ করত, তাহলে গত 2016 সাল থেকে শুরু করে 2019 সাল পর্যন্ত যেন তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত হতে হল!

বারবার ফলাফল পর্যালোচনায় অভিযোগ উঠেছে জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। সেক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছে, তখন সত্যেন রায়ের মত প্রাক্তন বিধায়কের গলায় বিদ্রোহের সুর যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিল জেলা নেতৃত্বকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!