এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ঘাসফুলের দাপটে হুড়মুড়িয়ে ভাঙছে বিজেপি শিবির! বিধানসভার আগে ক্রমশ ঘুম উড়ছে শীর্ষ নেতাদের

ঘাসফুলের দাপটে হুড়মুড়িয়ে ভাঙছে বিজেপি শিবির! বিধানসভার আগে ক্রমশ ঘুম উড়ছে শীর্ষ নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করে বিজেপি রীতিমত আত্মপ্রত্যয়ী হতে শুরু করেছিল। কোনোভাবেই তাদেরকে আর পরাজিত করা যাবে না বলে শাসক দল তৃণমূলের ঘর ভেঙে ঘাসফুল শিবিরকে খানখান করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বদের গলায়। কিন্তু বেশি আত্মতুষ্টিতে ভুগলে যে সংগঠন ভেঙ্গে পড়বে, তা কল্পনায় ছিল না গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। তাই লোকসভা ভোটের বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তখনই কোচবিহারে ভাঙতে শুরু করল বিজেপির অন্দরমহল।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কোচবিহারের বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মাজিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য শীতেন বর্মন সহ বেশ কিছু নেতা যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর বিজেপির বিরুদ্ধে যখন সংখ্যালঘু বিদ্বেষী তকমা দিতে ব্যস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, ঠিক তখনই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতির তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান গেরুয়া শিবিরকে কোচবিহার জেলায় অনেকটাই কোণঠাসা করে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি থেকে আসা সমস্ত নেতাদের দলে স্বাগত জানিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মাজেদুল ইসলাম আমাদের দলে এলেন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন শীতেনবাবু সহ কয়েকজনকে আমরা এদিন দলে যোগদান করিয়েছি। বিজেপির আরও নেতৃত্বকে দলে সামিল করব।” সামনেই তো বিধানসভা নির্বাচন! এখন থেকেই যদি বিজেপিতে এভাবে ভাঙ্গন দেখা দিতে শুরু করে, তাহলে আগামী দিনে কিভাবে কোচবিহারের মত জেলায় ভালো ফল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির কোষাধ্যক্ষ বিরাজ বসু বলেন, “সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মাজিদুল ইসলাম নন। তিনি প্রাক্তন। চাকরির প্রলোভনে তিনি ওই দলে গিয়েছেন। শীতেন বর্মনকে টোপ দেওয়া হয়েছে। এতে দলের ক্ষতি হবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি নেতারা এখন এই কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কেননা তাদের দল ভেঙেছে, তাই তারা এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এই সমস্ত নেতারা অন্য দলে গেলেও কোনো ফ্যাক্টর কাজ করবে না বলে দাবি করবেন।

কিন্তু বাস্তব অংক অন্য কথা বলছে। যদি এইভাবে একের পর এক বিজেপিতে ভাঙ্গন দেখা দিতে শুরু করে এবং সেই সমস্ত নেতারা যোগ দিতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসে, তাহলে আগামী দিন বিজেপির পক্ষে কিছুটা হলেও চাপের হতে পারে। এখন বিজেপি নিজের ঘর সামলাতে কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে, নাকি তাদের ঘরে হানা দিয়ে তৃণমূল নিজেদের দিকে জোয়ার আনে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!