এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হতেই তৃণমূলের দু-দুটি কার্যালয় গুঁড়িয়ে গেল! উত্তেজনা বাড়ছে হুগলিতে

বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হতেই তৃণমূলের দু-দুটি কার্যালয় গুঁড়িয়ে গেল! উত্তেজনা বাড়ছে হুগলিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ক্রমশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ এবং তাকে কেন্দ্র করে পার্টি অফিসে হামলা, যেন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা এবং তার ফলে তৃণমূলের দুটি কার্যালয় ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোঘাটের পচাখালি এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কিশোরপুর গ্রামে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। আর সেই সময়ই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। যেখানে অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির মন্ডল সহ সভাপতি সহ আরো দুজন ব্যক্তি আহত হন। বর্তমানে তারা আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় 17 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

কিন্তু এই ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই কিশোরপুরে তৃণমূলের দুটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। আর প্রথমে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, ঠিক সেরকমই দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে 10 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের তরফে যে অভিযোগ করা হয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে, তাতে কতজন গ্রেফতার হয়েছে? পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিজেপির যাদের নামে অভিযোগ করেছে, তাদের খোঁজ চলছে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে যদি এইভাবে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের ওপর হামলা এবং দলীয় কার্যালয়ে ভেঙে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটাতে শুরু করে, তাহলে মানুষ কাদের উপর ভরসা রাখবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে গোঘাট 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের মনোরঞ্জন পাল বলেন, “রাতের অন্ধকারে বিজেপি নোংরা কাজ করেছে। আমরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।” তবে তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অশান্তি হচ্ছে। তাতে আমাদের ছেলেদের জড়িয়ে নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল। এসব করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে ওরা। কিন্তু তার কোনো রাস্তা নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শাসক-বিরোধী এই দুই রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে এইভাবে গন্ডগোল অব্যাহত রাখে এবং তার ফলে জনমানসে প্রভাব পড়ে, তাহলে তা দুই দলের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হবে। রাজনৈতিক বিরোধ থাকবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সেই বিরোধের মাঝে আক্রমণ এবং পার্টি অফিসে হামলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এখন রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক বিরোধিতা অপেক্ষা এই সমস্ত গন্ডগোলে যদি বেশি মশগুল হয়ে পড়ে, তাহলে ভোটব্যাংকে যে তার প্রভাব পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা‌। এখন এই সমস্ত বিষয়গুলো রাজ্যের তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলের নেতাদের উপলব্ধিতে কবে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!