এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা টীকা: দেশীয়, অক্সফোর্ডের পর এবার রাশিয়ান ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের দরজাও খুলে দিচ্ছে ভারত?

করোনা টীকা: দেশীয়, অক্সফোর্ডের পর এবার রাশিয়ান ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের দরজাও খুলে দিচ্ছে ভারত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে চলছে নানা জটিলতা। এরই মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দেশবাসী আপাতত ভরসা রেখেছে দেশীয় টিকার ওপর। সম্প্রতি ভারতে দু’টি ভ্যাকসিনেরই ট্রায়াল চলছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে থেকে আইসিএমআর-ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জাইডাস ভ্যাকসিনও দ্বিতীয় ট্রায়ালের পরীক্ষায় রয়েছে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত দু’টি ভ্যাকসিনেরই সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিতর্কিত সেই তৃতীয় ভ্যাকসিনটি, যা অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, সেটি সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করার বরাত পেয়েছিল। ইতিমধ্যেই এটি ব্রিটেন, আমেরিকা, ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের মানব ট্রায়ালে রয়েছে। ভারতেও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল আগামী সপ্তাহে ১৭টি অংশে ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা নিয়ে দোটানা তৈরি হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সদস্যের তরফে জানা গেছে যে, রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে ভারত বিবেচনা করছে। রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের সরকারের কাছে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে দু’টি সংস্থার সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যাতে ভারতের সংস্থাগুলির মাধ্যমে তারা ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে। সেই সঙ্গে এদেশে তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাতে পারে। ভারত সরকার তাই পুরোনো বন্ধু’র কাছ থেকে পাওয়া এই অংশীদারিত্বের প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তারাও রাজি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগস্ট মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের প্রথম করোনা প্রতিষেধকের কথা ঘোষণা করেন। সেই সময়, প্রথম ভ্যাকসিনে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেলেও, এই দ্বিতীয় ভ্যাকসিনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকছে না বলেই জানা গিয়েছিল। পরীক্ষামূলক ভাবে সেই সময় এই ভ্যাকসিন ৫৭ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর প্রয়োগ করা হলে তারা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা যায়। এই পরীক্ষাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি। আর এর পরই অক্টোবরের মধ্যেই সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নভেম্বর থেকেই এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল রাশিয়া।

আর সেখানে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার জন্য বেশ কিছুদিন আগেই আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। ভারতে রুশ রাষ্ট্রদূত সেই প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি কেন্দ্র সরকারের কাছে হাজিরও হয়েছিলেন। ভারত যে রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে নেবে সেই জল্পনা আগে থেকে ছিল। কারণ কেন্দ্রের রাজি হওয়ার পিছনে বিদেশ নীতির কথাই উঠে এসেছিল রাজনীতিবিদদের মুখে। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে বর্তমানে চিনের সঙ্গে যেভাবে ভারতের নানা বিষয় নিয়ে টানাপোড়েন চলছে, তাতে রাশিয়ার সঙ্গে যে ভারত সুসম্পর্ক রেখেই চলবে সে কথাই অনুমান করা যায়। তবে ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল কতটা কার্যকরী হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!