এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ডিএ মামলায় আদালতের পাঁচ প্রশ্নে ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার, আশা বাড়ছে কর্মীদের

ডিএ মামলায় আদালতের পাঁচ প্রশ্নে ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার, আশা বাড়ছে কর্মীদের

রাজ্যে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোDA মামলা। প্রাপ্তDA মিলছে না সরকারের থেকে এই নিয়ে মামলা চলছে। এদিন তেমনি এক শুনানিতে কিহচুটা হলেও ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার যা আশা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এদিন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করে বলেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা স্থায়ী কর্মী তাঁরা কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন।আর্টিকেল ৩০৯-এ উল্লেখ রয়েছে সরকারি কর্মীদের নিয়োগ এবং শর্ত নিয়ে পার্লামেন্ট এবং রাজ্য বিধানসভাগুলি নীতি নির্ধারণ কতে পারে। বছরে দু’বার মহার্ঘ ভাতা বা DAপাওয়ার হকদার এই সরকারি কর্মচারীরা।এর পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন যে ২০০৯ সালে সরকারী কর্মীদের পাওনাগন্ডার জন্য তো ‘রোপা’ আইন এনেছে রাজ্য সরকার। তবে তাদের DAপাওয়ার আইনি অধিকার থাকবে না কেন?DA’র অধিকার নিয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে বিকাশবাবু বলেন, ‘সেন্ট্রাল প্রাইস ইনডেক্স’ ঠিক করে দেয়, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য DA কত শতাংশ বাড়ানো হবে। সেই অনুযায়ী বছরে দু’বার (জানুয়ারি এবং জুলাইয়ে) DA বাড়ানোর কথা।আদালত এর পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ রিপোর্ট জানাতে বলে রাজ্য সরকার।

সেই পাঁচ বিষয় হলো :-

১. সরকার কী ভাবেDA নির্ধারণ করে, তার গোটা পক্রিয়া আদালতকে জানাতে হবে।

২. ডিএ কত শতাংশ হারে দেওয়া হয়, কতদিন পরে পরে দেওয়া হয়, এবংবছরে দু’বার না একবার তাও আদালতকে রাজ্য সরকার জানাতে বাধ্য।

৩. এখনো পর্যন্ত বকেয়াDA দেওয়া নিয়ে ক্যাবিনেট বা প্রশাসন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি?

৪. রাজ্যের অর্থ দফতর কী ভাবে পুরো বিষয়টির হিসাব-নিকাশ করে,আদালতকে তা জানাতে হবে ।

৫. কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদেরDAপ্রাপ্তিতে কতটা ফারাক, তাও আদালতকে রাজ্য সরকার জানাবে।
এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আপাতত রাজ্য সরকার একটু হলেও অবস্তিতে পর্বে বলে মনে করছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!