এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সিদ্ধিদাতাকে তুষ্ট করুন সহজ উপায়ে! করোনা কালেও আর্থিক কষ্ট কেটে গিয়ে উপচে পড়বে ধনরাশি!

সিদ্ধিদাতাকে তুষ্ট করুন সহজ উপায়ে! করোনা কালেও আর্থিক কষ্ট কেটে গিয়ে উপচে পড়বে ধনরাশি!


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শ্রী গণেশ মঙ্গল মূর্তি , বিঘ্নহর্তা নামেই পরিচিত। বলা হয়, সমস্ত শুভ কাজের শুরু হয় শ্রী গণেশের নাম নিয়ে। আর এভাবে কাজ শুরু করলে তা সফল হয়। দেবতাদের মধ্যে তাঁকে ‘প্রথম পূজ্য’ বলা হয়। তাই শুভদিনে পরিবারের মঙ্গল কামনায় এই দেবতার স্মরণ করা হয়ে থাকে। তবে সেই সঙ্গে এই দেবতার পূজো দিয়েই যেকোনো পুজো শুরু হয় বলেও জানা যায়। কথিত আছে গণেশের পুজো না করে অন্য কোন দেবতার পুজো করলে, সেই দেবতা সন্তুষ্ট হন না। তাই সর্বাগ্রে গণেশ পুজা করাযই নিয়ম।

গণ অর্থে সমষ্টি আর ঈশ অর্থাৎ ঈশ্বর। অর্থাৎ যিনি সকলের ঈশ্বর বা নায়ক। তিনিই গণেশ। ‘গণ’ শব্দটির মধ্যে আর একটি অর্থ আছে, সেনাবাহিনী। গনেদের অগ্র দেখে তাঁর এক নাম গনণায়ক। গণেশকে একদন্ত নামেও ডাকা হয়। বলা হয়, গণেশের একটি দাঁত কেটেছিলেন পরশুরাম। মহাভারত স্বহস্তে লিখেছিলেন গণেশ। গণেশ হল ‘গন শক্তি’এর প্রতীক। তাই অনেকেই নিজের বাড়িতে গণেশের মূর্তি স্থাপন করে পূজা করতে পছন্দ করেন। এছাড়া ঘর সাজাতেও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন গণেশের মূর্তি। তবে কি উপায়ে সিদ্ধিদাতাকে তুষ্ট করতে পারবেন তা জেনে নেওয়া দরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিব ও পার্বতী পুত্র গনপতি, নিজে মর্তে নেমে সমস্ত ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে, ব্যবহার করতে পারেন রক্তাসন অর্থাৎ লাল কোনো কাপড়ের ওপর বা যে আসনে আপনি গণেশকে রাখছেন সেই আসনটিকে বা সিংহাসনে লাল রঙের কাপড়ের ওপর গণেশ মূর্তি বসাতে পারেন। বলা হয় লাল রং গণেশের খুব প্রিয়। তাই সেইসঙ্গে লাল ফুল, যেমন জবা ফুল, লাল চন্দন এবং লাল বস্ত্র দ্বারা গণেশকে পূজা করতে পারেন।

অন্যদিকে ভগবান গণেশের মূর্তি দেখলেই দেখা যায় তাঁর হাতে রয়েছে মিষ্টির বাটি। সুতরাং বোঝাই যায় তিনি প্রসাদ ভোগ খেতে খুবই পছন্দ করেন। তাই তাঁকে তুষ্ট করার জন্য লাড্ডু বা মোদক দেওয়া যেতেই পারে। এছাড়া এগুলি অবশ্যই ঘি দিয়ে তৈরি হতে হবে এবং মিষ্টি যা তৈরি করা হবে, তাতে নারকেল এবং গুড়ের ব্যবহার থাকলে দেবতা সন্তুষ্ট হয় বলেই মনে করা হয়। তবে কখনোই গনেশকে দূর্বা দেবার সময় তা শুকিয়ে যাওয়া বা নেতিয়ে যাওয়া দূর্বা দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সব সময় সবুজ আভাযুক্ত দূর্বাই তাঁকে প্রদান করা উচিত বলেই মনে করা হয়। এবং সেই দুর্বার সংখ্যা সবসময় বিজোড় হওয়াই প্রয়োজন।

এছাড়া যজ্ঞের ক্ষেত্রেও এই দুর্বার সঙ্গেই সমীধ উৎসর্গ করার রীতি চলে আসছে। তবে তাঁর উপাসনা করার সময় কখনই তুলসীপাতা প্রয়োগ করা উচিত নয় বলেই জানা যায়। তবে একটা কথা মেনে নিতেই হয় যে, ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন আপনার নিষ্ঠা ভক্তি এবং ভালোবাসায়। তাই ঈশ্বরকে মন দিয়ে ডাকলে তিনি নিশ্চয়ই আপনার কথা শুনবেন এবং মনোবাঞ্ছা পূরণ করবেন বলেই আশা রাখা যায়। তবে তার সঙ্গে এই উপায়গুলিও প্রয়োগ করে দেখলে দেখতে পারেন ।কি বলা যায়, হয়তো আপনার জীবনেও ঈশ্বরের কৃপায় সুদিন আসতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!