এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামীদের কোণঠাসা করার অভিযোগে ঘেরাও টিম পিকের কর্মীকে! উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর!

শুভেন্দু অনুগামীদের কোণঠাসা করার অভিযোগে ঘেরাও টিম পিকের কর্মীকে! উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনের পর দলের ভাবমূর্তি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাজনৈতিক অধিকারের দায়িত্ব দেন প্রশান্ত কিশোরের ওপর। আর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখন রাজনৈতিক পরামর্শ নিতে হবে, অন্য কারো কাছে তা অনেকেই ঠিকমত হজম করতে পারেননি।

তবে প্রশান্ত কিশোর এসে তৃণমূলে নিয়ম-শৃঙ্খলা বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেও এবং বিভিন্ন জেলা তৃণমূল নেতারা তার নির্দেশ মোতাবেক পথ চললেও নিজের মত করেই পথ চলতে দেখা গেছে পূর্ব মেদিনীপুরের শুভেন্দু অধিকারীকে। সেভাবে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মেনে পথ চলতে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারকে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিমকে দলের সমস্ত কিছু পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, সেহেতু সেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের পরামর্শমতোষ সকলে চলবেন, একথা আশা করা হয়েছিল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বুধবার চন্দ্রকোনায় সেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার এক প্রতিনিধি বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। জানা গেছে, গোয়ালতোড়ে সদ্যনির্বাচিত যুব তৃনমূলের এক ব্লক সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে মিছিল করেন। কিন্তু সেই প্ল্যাকার্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকায় তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, চন্দ্রকোনা টু ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জগজিৎ সরকার। এদিন তিনি ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেতেই শাসকদলের বেশকিছু কর্মীসমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর সেখানেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের এক কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটিতে এইভাবে দল পরিচালনার দায়িত্ব যে প্রশান্ত কিশোরের কাঁধে রয়েছে, তার টিমের একজন প্রতিনিধিকে এভাবে বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে এবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জগজিৎ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি দলের একজন কর্মী। এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।” তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূলে এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কথা বললেও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বা দল যেভাবে পরিচালনা হয়, তার প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর, একথা প্রায় সকলেই জানেন। সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশমতই যে সমস্ত কিছু চলছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর এই পরিস্থিতিতে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দল পরিচালনার চেষ্টা করছেন প্রশান্ত কিশোর এবং তার সংস্থা, ঠিক তখনই তার সংস্থার এক কর্মীকে যেভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক অংশের বিরুদ্ধে, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এখন গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের একশ্রেণীর ব্যাপক দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!