আলকায়দা জঙ্গিরা ধরা পড়তেই তৃণমূলের কমিটি গঠন স্থগিত! তীব্র জল্পনা শুরু ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য September 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন প্রতিটি জেলার সংগঠনে বদল আনতে শুরু করেছে। রাজ্য স্তর থেকে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে, ব্লক থেকে শুরু করে শহরে কারা দায়িত্ব সামলাবেন। জেলা কমিটিতে কারা কারা থাকবেন, তাও ঠিক করে দিচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব। আর সেই মত করেই মুর্শিদাবাদ জেলায় কারা কারা দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবেন, তার সমস্ত তালিকা চূড়ান্ত করে নেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল, মঙ্গলবার সেই কমিটি ঘোষণা হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই শনিবার দিল্লির গোয়েন্দা পুলিশের হাতে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই স্থগিত হয়ে যায় এই জেলা কমিটির ঘোষণা পর্ব। আর হঠাৎ করেই আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হতেই কেন পূর্বনির্ধারিত কথা মত ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়া বন্ধ হয়ে গেল! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, যেহেতু এখানে জেলার স্বার্থ জড়িত আছে, সেহেতু এত বড় রকমের একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এখনই কমিটি ঘোষণা হলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসার পর কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে একাংশ অবশ্য বলছেন, শনিবার মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জঙ্গির সন্ধানের খবর আসতেই যেভাবে 9 জন গ্রেপ্তার হয়েছে, তাতে তৃণমূলের অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি জঙ্গী সন্দেহে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা অনেকেই তৃণমূলের সদস্য। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য কারা এবং কারা এই জঙ্গী সংগঠন করছেন, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে। ফলে কমিটিতে যদি এমন কারও নাম থাকে এবং তার ফলে যদি বিতর্ক তৈরি হয়, তাহলে তা বিরোধীদের কাছে বড় অস্ত্র হয়ে উঠে আসতে পারে এবং তার ফলে ব্যাপক চাপে পড়তে পারে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে বেশ কিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হতে না হতেই কমিটি ঘোষণা করার ব্যাপারটি স্থগিত করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ সমস্ত কিছু দেখে শুনে নিয়েই যারা কমিটিতে রয়েছেন, তাদের সঙ্গে যাতে অন্য কোনো সংগঠনের যোগ না থাকে, তা বুঝেই তৃণমূল এখন সময় নিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে চাইছে বলে মত একাংশের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এই জেলায় নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হিসেবে এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়েছিল। ফলে এবার জঙ্গী সন্দেহে বেশকিছু সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পর যদি কমিটি ঘোষণা করার পর এমন অনেকের নাম অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং সেই খবর আসতে শুরু করে, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাপে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বুঝে শুনেই এখন কমিটি ঘোষণা করার ব্যাপারটি স্থগিত রাখতে হয়েছে শাসক দলকে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ডোমকল ব্লকের সভাপতি মেহবুব মুর্শিদ বলেন, “এই মহাকুমার 80% মানুষ আমাদের দলের সদস্য। তা সত্ত্বেও এই সংগঠনের পাশাপাশি তাদের কে কোন সংগঠন করছে, তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের নাম এই জেলার মানুষের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় আমরা চিন্তিত।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রানীনগর 2 ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, “2019 এর ভোটে রানীনগর ব্লক থেকে প্রায় 18 হাজার ভোটে আমরা এগিয়ে ছিলাম। বলে বুঝতেই পারছেন এখানে আমাদের সমর্থকের সংখ্যা। তবে জঙ্গী কার্যকলাপের সঙ্গে জেলার যোগ থাকায় দলের জেলা কমিটির ঘোষণা পিছিয়ে গেল, না অন্য কারণে পেছালো, সেই ব্যাপারে আমরা অন্ধকারে।” আর এখানেই প্রশ্ন, কবে ঘোষণা হবে নতুন জেলা কমিটি? ঠিক কি কারণে সমস্ত কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও সেই কমিটি ঘোষণা স্থগিত হয়ে গেল? তাহলে কি এর পেছনে জঙ্গী সন্দেহে কিছু ব্যক্তির গ্রেপ্তার হওয়ার কারণেই কমিটি ঘোষণার ব্যাপারটি থেকে বিরত থাকল শাসক দল? এদের এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “যারা এই জেলা থেকে ধরা পড়েছে আমরা দলীয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর করার চেষ্টা করছি। তার মানে এই নয় যে, ওই কারণে জেলা কমিটি ঘোষণা স্থগিত হয়েছে। উপরতলার নির্দেশেই তা ঘোষণা করা হয়নি।” সব মিলিয়ে এখন কবে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -