করোনা আবহে প্রায় ৪৫০ শিক্ষকের বদলি! শিক্ষাদপ্তরের ‘সদিচ্ছা’ নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল! কলকাতা রাজ্য September 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জেলার শিক্ষক বদলি নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এবার পাকাপাকিভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এর পক্ষ থেকে প্রায় 450 শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষক মিলিয়ে বদলি হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বদলি হলেও কোনভাবেই ধন্দ কাটছে না। কারণ লকডাউনের মাঝে এই বদলি। তার ওপর বদলির জায়গাগুলি যেভাবে পছন্দ করা হয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার দিকে কোনই নজর দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক মান্না 445 জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষক বদলির নিয়োগে সীলমোহর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বদলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক সংগঠনগুলির অন্দরে। বদলি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছে তাঁরা। জানা গেছে, বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর থেকে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী নিজেই বদলির ফাইল দেখেন। বদলির আবেদনগুলি ছাড়পত্র পেয়ে বিকাশ ভবন থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যায় আর সেখান থেকেই অনলাইনে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এবং ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সেগুলি প্রার্থীরা। যদিও নতুন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র এখনো দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জানা গেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অসুস্থ। অস্থায়ীভাবে এই দায়িত্ব বর্তমানে নিয়েছেন কলকাতা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না। প্রসঙ্গত, এই বদলি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁদের মতে, বদলির চিঠিতে যথেষ্ট অসামঞ্জস্যতা চোখে পড়ছে। একই জেলায় এক মহকুমা থেকে পাশের মহকুমায় শিক্ষক বদলি হয়েছেন। যেখানে বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বকে মান্যতা দেওয়ার কথা ছিল, তা মোটেই মানা হয়নি। কলকাতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দক্ষিণ কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতায় বহু শিক্ষক এসেছেন। অন্যদিকে কলকাতায় এমনিতেই শিক্ষক বেশি পড়ুয়া কম। আবার দেখা যাচ্ছে, বহুক্ষেত্রে বাইরের জেলাগুলো থেকে কলকাতায় বদলি হয়ে এসেছেন বহু শিক্ষক। শুধু তাই নয়, অন্তত 25-30 জন প্রধান শিক্ষক এবারে বদলি হয়েছেন। এর ফলে দীর্ঘদিনের জন্য সেই স্কুলগুলি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ থেকে একাধিক শিক্ষক বদলি হয়ে গেছেন। ফলে শিক্ষকের অভাবে এবার বেশ কয়েকটি স্কুল বিপাকে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত শিক্ষক বদলি নিয়ে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে ঝটপট সেরে নিতে চাইলেন রাজ্য সরকার শিক্ষক বদলির ইস্যু। আপনার মতামত জানান -