করোনা আবহেই তৈরী ৫০০! খুব শীঘ্রই আরও ৩০০! বিজেপিকে শক্তিশালী করতে জেপি নাড্ডার মহা পরিকল্পনা জাতীয় বিজেপি রাজনীতি August 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2014 সাল থেকে দেশে বিজেপির জয়যাত্রা শুরু। তারপর থেকে এখনো অব্দি আর থমকাতে হয়নি। এখনো অব্দি এককভাবে বিজেপি দিল্লির মসনদে আসীন রয়েছে। 2014 সাল থেকেই ক্ষমতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর একের পর এক রাজ্য দখল শুরু বিজেপির। তার ফলে জাতীয় দলের বিরোধীরা হয়ে পড়েন কোণঠাসা। এই অবস্থায় বিরোধী শিবিরকে আরো একটু চাপে রাখার জন্য এবার দেশজুড়ে করোনার মধ্যেই 500 টির বেশি দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এবং এ খবর জানিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। আগামীদিনে আরও প্রায় 300 টি পার্টিঅফিস তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি। এদিন দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্নাটকের নয়টি দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জে পি নাড্ডা। এদিন পার্টিঅফিস উদ্বোধনের পর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে জে পি নাড্ডা রীতিমতো জ্বালাময়ী বক্তৃতা রাখেন বলে জানা গেছে। জে পি নাড্ডা জানান, প্রতিটি জেলায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা ছাড়াও দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাতে আদর্শগত ভাবধারার বন্ধন মজবুত থাকে, সেদিকে নজর দিতেই এত বিশাল আকারে দলীয় কার্যালয় খোলার ভাবনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে জানাগেছে কর্নাটকে যে নয়টি দলীয় কার্যালয় খোলা হবে সেখানে থাকবে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। দলীয় কার্যালয় তো থাকবেই, তার সাথে সম্মেলন হল, গ্রন্থাগার, গবেষণা বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি সেল ছাড়াও থাকবে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের আলাদা বসার ব্যবস্থা। অন্যদিকে এদিন জে পি নাড্ডা করোনা আবহে কর্ণাটক বিজেপি দল যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ত্রাণের কাজ করেছে, তাতে তিনি বাহবা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, করোনা আবহে কর্ণাটক বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত 1.54 কোটি খাবারের প্যাকেট এবং 50 লক্ষ রেশন কিট তুলে দেওয়া হয়েছে দুঃস্হদের হাতে। একইসঙ্গে করোনা সচেতনতায় 64.5 লক্ষ স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়েছে কর্ণাটক বিজেপির পক্ষ থেকে জনগণের হাতে। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে বিজেপি যাতে সাংগঠনিকভাবে আরো দৃঢ় হতে পারে এবং ভারতজুড়ে যাতে গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক জোর প্রকাশ পায়, তাই এই পদক্ষেপ। তবে রাজনৈতিক মহলে গেরুয়া শিবিরকে নিয়ে বিতর্ক আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত পদ্ম শিবির জাতীয় রাজনীতিতে আরোও নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -