বিকাশ দুবের মত মাত্র ৬ মাসেই এনকাউন্টার হবে অনুব্রত মন্ডলের? বিস্ফোরক দাবি হেভিওয়েট নেতার! তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই খোলাখুলি একে অপরকে চড়া সুরে আক্রমণ করছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর সে দিক থেকে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের কাছে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে আবার নতুন করে তাঁরা ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই দু’দল নিয়ম করে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছে একে অপরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে মাফিয়া ডনদের এনকাউন্টার নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এদিন বাংলার বুকে বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের ঘটনাকে টেনে এনে অনুব্রত মণ্ডলকে এনকাউন্টার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তাঁর কথা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে পড়ে গেছে শোরগোল। এদিন দুর্গাপুরে বিজেপির তরফ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যদিও এই সভাকে ঘিরে শোনা যাচ্ছে লকডাউনের নির্দেশিকা লংঘন করা হয়েছে। এই সভাতেই উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের রাজনৈতিক কার্যকলাপকে গুন্ডাগিরির সাথে তুলনা করেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেইসাথে অনুব্রত মণ্ডলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এনকাউন্টার করা হবে বলে জানান রাজু। শুধু অনুব্রতই নন, এদিন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষানলের হাত থেকে রক্ষা পাননি তৃণমূলের বহু নেতা। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদল যে হচ্ছেই, সেকথাও নিশ্চিত করেন। এবং ক্ষমতা বদলের পর গেরুয়া শিবির যে সব হিসেব সুদে আসলে উসুল করবে সে কথাও জানান তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মূলত এদিন হুমকির সুরেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পন্ন করেন। অন্যদিকে এদিন রাজু অভিযোগ করেন, সিপিএমের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যা দেখা যাচ্ছে রাজ্যে, সেগুলি আসলে তৃণমূল কর্মীদের কর্মসূচি। শুধু তৃণমূলের নেতাদের নন, এদিন পুলিশ প্রশাসনকেও রীতিমতো ধমকে চমকে শাসন করতে চেয়েছেন রাজু। পালাবদলের পর পুলিশ যদি তাঁর সম্পত্তির হিসাব না দেয়, তাহলে সেই সম্পত্তি রাজ্য বিজেপি সরকার যে ক্রোক করে নেবে, তা তিনি এখন থেকেই জানিয়ে দিলেন। অন্যদিকে রাজু বন্দোপাধ্যায়ের চোখা মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি অনুব্রত মণ্ডল কিংবা অন্য তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া নিতান্তই অপরাধযোগ্য ঘটনা। এদিকে গেরুয়া শিবিরের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্যই এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে তৃণমূল এবং বিজেপি যে একে অপরকে কড়া টক্কর দেবে সে কথা পরিষ্কার ইতিমধ্যে। আপনার মতামত জানান -