আবার হিংসার ঘটনা সামনে এল, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়, তৃণমূল অভিযোগের নিশানায় গেরুয়া শিবির তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 31, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্বিতীয় দফার ভোট যখন রাত পোহালেই শুরু হবে, ঠিক তার আগে রাজ্যজুড়ে কিন্তু রাজনৈতিক হিংসার খবর ক্রমাগত সামনে আসছে। রবিবার রাতে দক্ষিণ 24 পরগনা বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের দুই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিজেপি শিবিরকে। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা করা হয়। তাঁদের একজনের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল, অন্যজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এবং এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও বিজেপি তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফ থেকেও অবশ্য বলা হয়েছে, পারিবারিক সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আমঝাড়ায় তালদা হালদার পাড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় মিটিং সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ হালদার ও তারক হালদার। সেসময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে বাসন্তীর তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাজা গাজি পুলিশের কথার ওপর ভরসা করতে পুরোপুরি নারাজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে বাসন্তী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রমেশ মাঝি অবশ্য পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, হেরে যাবে বলে তৃণমূল রাজনৈতিক সন্ত্রাস তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফা নির্বাচনে ভোট হতে চলেছে বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে এলাকায় গুলি চালানো এবং কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অবশ্যই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরী করেছে। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচন কমিশন ভোট পূর্ববর্তী রাজনৈতিক হিংসা রোখার জন্য রাজ্যজুড়ে একের পর এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর আমদানি করেছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত এখনো। আর তাই কমিশনের দিকেই এখন পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপনার মতামত জানান -