এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভব্য, আপত্তিকর আচরণে দল ও পদ দুই ই খোয়ালেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা

অভব্য, আপত্তিকর আচরণে দল ও পদ দুই ই খোয়ালেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মহকুমা শাসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অভব্য আচরণ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ডোমকল পুরসভার কাউন্সিলর প্রদীপ চাকীকে দল ও পদ থেকে অপসারিত করে দেয়া হলো। অভিযোগ উঠেছে, করোনার টিকাকরনের কাজে বাধা দিয়েছেন তিনি। মহকুমা শাসকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। অভিযোগ ওঠার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হলো। এখন তিনি পুলিশের হেফাজতে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক রাজীব মন্ডল জানিয়েছেন যে, গত শনিবার পুরসভার পক্ষ থেকে করোনার ভ্যাকসিন দিতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে ডোমকলের বেশকিছু হকারের নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন কাউন্সিলর প্রদীপ চাকী। কিন্তু পরে দেখা গেছে যাদের নাম তিনি হকার হিসেবে নথিভুক্ত করেছিলেন, তারা সকলে হকার ছিলেন না। কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তিনি হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ও সরকারি কাজে বাধা দেন। এরপর বাধ্য হয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। তিনি জানতে পেরেছেন, এরপর প্রদীপবাবুকে তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর এই আচরণের জন্য দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। শাসকদলের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত শনিবার মহকুমা শাসককে হেনস্থা, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে প্রদীপ বাবুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর সেদিনই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এখন তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে, জানা যাচ্ছে। দলের এই নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকে, গতকাল তাঁকে দল ও পদ থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়। গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অশোক দাস এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অশোক দাস জানালেন, গত শনিবার ডোমকল পুরসভাতে যখন করোনার সম্মুখ যোদ্ধাদের টিকাকরণ চলছিল, সেসময় মহকুমা শাসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অভব্য আচরণ করেছেন কাউন্সিলর প্রদীপ চাকী। তিনি যে আচরণ করেছেন ও সরকারি কাজে যেভাবে বাধার সৃষ্টি করেছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর জন্য দলীয় কর্মসূচি থেকে ও কাউন্সিলর পদ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাঁকে বহিস্কার করে দেয়া হলো। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে কোনরকম বেয়াদপি সহ্য করা হবে না।

ইতিপূর্বেও দল বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বহু কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল। প্রদীপ চাকীও কোন আলাদা ব্যক্তি নন। তাঁর এই কর্মের জন্য দলের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কাছে তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে কোন রকম বেয়াদবি সহ্য করা হবে না। যে বা যারা, এই ধরনের কাজ করবেন, তাদের সকলকে এভাবেই বহিষ্কার করে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের তৃণমূল সরকার গঠনের পর স্বচ্ছতার বিষয়ে যথেষ্ট কড়া নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের বারবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গোষ্ঠী কোন্দল ইত্যাদি বিষয়েও বারবার দলকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মহকুমা শাসকের সঙ্গে আপত্তিকর আচরনের কারণে দাপুটে নেতার দল থেকে বহিষ্কার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনীতি মহলের দাবি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!