এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জামিন হলেও স্বস্তি নেই, আজ ফের নারদ মামলার শুনানি হাইকোর্টে!

জামিন হলেও স্বস্তি নেই, আজ ফের নারদ মামলার শুনানি হাইকোর্টে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত 17 তারিখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপরই রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। দীর্ঘদিন গ্রেপ্তার রত অবস্থায় থাকতে হয় চার হেভিওয়েটকে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের মধ্যে দিয়ে গৃহবন্দি থাকার শর্তে জেল থেকে ছাড়া পান তারা।

আর এরপর আরও বড় স্বস্তি দিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ চার অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে দিয়েছে। যার জেরে অনেকটাই হোঁচট খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। তবে সিবিআই জামিনের ব্যাপারে হোঁচট খেলেও, এবার তারা অন্য ইস্যুতে অভিযুক্তদের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, আজ আবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে। মূলত সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আজকের এই শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মে মাসের গত 17 তারিখে যখন চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

শুধু তাই নয়, সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বসে থাকতে দেখা যায় স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও সিবিআই দপ্তরের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আর তারপর থেকেই এই রাজ্যে এইভাবে মামলা পরিচালনা করা যাবে না বলে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করে আসতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এক্ষেত্রে শাসক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রভাব সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ করেছে সিবিআই।

আর সিবিআইয়ের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টে এই নারদ মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে শুনানি হবে বলে খবর। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সম্প্রতি এই মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দিলেও, এবার যদি হাইকোর্টের শুনানিতে নারদ মামলা অন্য কোনো রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় সিবিআই, তাহলে চার প্রভাবশালী যারা সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের বিড়ম্বনা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, এর আগে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রয়াত তাপস পালের ক্ষেত্রে সেই মামলা অন্য রাজ্যে পরিচালনা করতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। ফলে সেদিক থেকে যদি নারদ কান্ডে এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে তা তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে আরও তিন হেভিওয়েট যখন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তখন এই ব্যাপারে আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের কন্যার গলায়।

যেখানে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে লাগাতার অভিযোগ করা হয়েছিল, তখন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা যাতে কেউ সিবিআই দপ্তরের বাইরে না যান এবং অশান্তি ছড়িয়ে না দেন, তার জন্য আবেদন করেছিলেন। এক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায়, সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে অন্য রাজ্যে মামলা নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা শোনা গিয়েছিল তার গলায়।

আর এই পরিস্থিতিতে আজ সেই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। সব মিলিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে হেভিওয়েটরা স্বস্তি পেলেও, অন্য রাজ্যে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!