এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে কেন ডাকছে না সিবিআই? ভাইপোর প্রশ্নে ঘাম ছুটলো তৃনমূলের! স্পষ্ট জবাব শুভেন্দুর!

শুভেন্দুকে কেন ডাকছে না সিবিআই? ভাইপোর প্রশ্নে ঘাম ছুটলো তৃনমূলের! স্পষ্ট জবাব শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় নাম জড়াতে শুরু করেছে বাংলার যুবরাজের। কিন্তু তিনি নিজেকে যতই সততার প্রতীক বলে দাবি করুন, জেরার মুখোমুখি হতে ভয় পান। যদিও বা জেরার মুখোমুখি হন, তাহলেও সাথে রাখেন রক্ষা কবচ। যাতে তাকে কেউ গ্রেফতার করতে না পারে। এই হচ্ছে বাংলার বীরের অবস্থা। তিনি আবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। শুভেন্দুবাবুকে নাকি কেন্দ্রীয় সংস্থা নাকি ছেড়ে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে নাকি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। কিন্তু এবার সাংবাদিকদের তরফে সেই প্রশ্ন আসতেই তার কড়া জবাব দিয়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন, তাকে এসব বলে ভাইপো এবং তার অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা চাপে রাখতে পারবে না। যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অন্তত ভাইপোর মত জেরায় ডাকলে রক্ষাকবচ নিতে আদালতে ছুটে যাননি। তাই ভাইপোর থেকে তার অন্তত তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় কম। এটা আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিন বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করার পর থেকে যে মঞ্চেই বক্তব্য রাখুন না কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ হবে না, এই বক্তব্য রাখেন। নিজের বক্তব্যের মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ সময় তিনি ব্যয় করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে। অবশ্য করবেন নাই বা কেন! তার পিসিকে যে বিরোধী দলনেতা হারাতে পারেন, তিনি আগামী দিনে তৃণমূলকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন, এটা ভাইপো খুব ভালো মতো জানে। তাই শুভেন্দু বাবুকে যে করেই হোক, কটাক্ষ করতে হবে। হাতে রয়েছে নারদা ইস্যু। তাই সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বারবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে যুবরাজকে। তবে এদিন সেই প্রশ্ন করতেই পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে কেন সিবিআই আসবে? আমি কি করেছি? আর আমাকে জেরায় ডাকলে আমি ভাইপোর মত আদালতে ছুটে যাইনি।”

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে উচ্ছ্বসিত বিরোধী শিবির। বিজেপির দাবি, বাপের ব্যাটা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে লড়ার মত দম রাখা উচিত গোটা তৃণমূল দলের। ভাইপো একা তো অনেক দূরের কথা, ভাইপো-পিসি দুজন মিলেও শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে পারবেন না। শুধুমাত্র নারদা ইস্যু দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ হবে না, এই বলতে বলতে পিসি ভাইপোর গলা ব্যথা হয়ে যাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে নিরপেক্ষ, তা তো বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাদের তল্লাশিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতেও তারা যাবে। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে ভয়ে আদালতে গিয়ে রক্ষাকবচ নেওয়ার মতো পথে হাঁটবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কারণ তার মাথা উঁচু, মেরুদণ্ড সোজা। তাই তিনি ভাইপোর মত পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এড়ানোর লোক নন বলেই পাল্টা দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় নিয়ে তৃণমূল খুব বেশি চিন্তিত। কোনোভাবেই শুভেন্দুবাবুকে যখন কাবু করা যাচ্ছে না, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন তার বাড়িতে যাচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে সরব হচ্ছে তৃণমূল। তবে ভাইপো কোনো দোষ করলে অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা তা করার সাহস দেখান না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে সব প্রশ্ন করা যায়। তাই ভাইপোর বক্তব্য তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে আসলেই তিনি সপাটে জবাব দিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। আর কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলে তিনি আর যাই হোক, বাংলার আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতার মত পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান না। তিনি তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার মত ক্ষমতা রাখেন। যা এক পয়সাও দুর্নীতি করিনি বলা নেতা রাখতে পারেন না। তাই শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে এই ধরনের কথা বলে তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!